বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৩, ০২:০৫:৩২

ভাবতাম কেন এই সিদ্ধান্ত নিলাম, কোন নরকে এসে পড়লাম: মণিকা

ভাবতাম কেন এই সিদ্ধান্ত নিলাম, কোন নরকে এসে পড়লাম: মণিকা

বিনোদন ডেস্ক: ৪৮ বছরে পা দিলেন বলি অভিনেত্রী মণিকা বেদী। বুধবার তার জন্মদিন ছিল। নয়ের দশকের অন্যতম সফল নায়িকা ছিলেন তিনি। ১৯৯৪ সালে বলিউডে ডেবিউ করছিলেন ম্যায় তেরা আশিক ছবির হাত ধরে। 

এরপর একাধিক সিনেমায় কাজ করেছেন নায়িকা। গোবিন্দা, সালমান খানের মতো সুপারস্টারদের বিপরীতেও কাজ করেছিলেন মণিকা। কিন্তু, আচমকাই তার জীবন পাল্টে গিয়েছিল। যার জেরে গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও ভেবেছিলেন নায়িকা। 

এক সাক্ষাৎকারে মণিকা বলেছিলেন, "আমার কাছে আরসালান আলি নামের এক ব্যক্তির ফোন এসেছিল। সে দুবাইয়ে শো করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল আমাকে। এক বিষয়টি নিয়ে মাঝেমধ্যেই সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করত। আমি ফোন ধরতাম। কারণ, উনি আমার সঙ্গে কাজের কথাই বলতেন।" 

তার সংযোজন, "আমি যে কু'খ্যা'ত ডন আবু সালেমের সঙ্গে কথা বলছি সেটা বুঝতে পারিনি। যদিও ওই সময় সরাসরি আবু সালেম হিসেবে পরিচয় দিলেও আমি ওকে চিনতে পারতাম না। কারণ, আমি দাউদ আর ছোটা শাকিলের নাম শুনেছিলাম। ওর নয়।"

মণিকার দাবি, দুবাইয়ের ইভেন্টে তিনি পারফর্ম করার পর আবুর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। মাঝেমধ্যে নাকি নৈশভোজ করতেন তারা। ছবি দেখতেন একসঙ্গে। তৃতীয়বার তিনি যখন দুবাইয়ে যান তখন নিজের আসল পরিচয় জানায় আবু সালেম। কিন্তু, ততদিনে তার প্রেমে পাগল হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী। 

তার কথায়, "যখন মানুষ প্রেমে পড়ে, তখন অন্য সব বিষয় তার কাছে গৌণ হয়ে যায়। আমার ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল। ও আমাকে বলেছিল অপরাধ জগৎ ছেড়ে বেরিয়ে আসবে। নতুন করে শুরু করবে। আমিও বিশ্বাস করেছিলাম।"

আবু সালেমের হাত ধরে একসময় মুম্বাই ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন মণিকা বেদী। পর্তুগালে থাকতে শুরু করেছিলেন তার সঙ্গে। সেই সময় অনেকের ধারণা ছিল, শুধুমাত্র টাকার জন্য স'ন্ত্রা'সীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন মণিকা। তাকে ব্যবহার করে সিনেমায় কাজ পেয়েছিলেন, এমন অভিযোগও ওঠে। অতীতের মুখ খুলেছেন মণিকা বেদী। 

তার কথায়, "আবুর টাকা ছিল। কিন্তু, তাতে আমার কী লাভ হয়েছে? সেই টাকা আমি পেয়েছি? বরং আমি পর্তুগালে থাকাকালীন ওর জন্য রান্না করতাম, জামা কাপড় কাঁচতাম। বাড়ির সব কাজ করতাম। তাছাড়া সবসময় মনে ভয় কাজ করত। শেষের দিকে ভাবতাম, কেন এই সিদ্ধান্ত নিলাম? কোন নরকে এসে পড়লাম!"

শোনা যায়, স্বেচ্ছায় আবু সালেমের দ্বিতীয় স্ত্রী হয়েছিলেন মণিকা। কিন্তু, কখন সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্ত নিলেন? অভিনেত্রীর কথায়, "পর্তুগালে বসে আমি যখন ওর বিরুদ্ধে তৈরি চার্জশিট পড়ছিলাম, তখন চোখ খুলেছিল। আমি জানতাম ও অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু, এতো মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত ভাবতে পারিনি।"

২০০৫ সালে মণিকাসহ আবু সালেমকে দেশে ফিরিয়ে আনে পুলিশ। পর্তুগালে জাল পাসপোর্ট মামলায় জেল খাটতে হয়েছিল মণিকাকেও। এখানেও দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন। পরে জেল টার্ম শেষ হলে নতুন করে জীবন শুরু করেন মণিকা। টেলিভিশনের কিছু কাজও করেছেন তিনি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে