বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা। নব্বইয়ের দশকে অভিনয়জগতে পা রাখেন তিনি। হিন্দি ছবির পাশাপাশি নেপালি, তামিল, তেলুগু, মালায়ালাম, বাংলা এবং ইংরেজি ভাষার ছবিতেও চুটিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর অভিনয়জগৎ থেকে দূরে সরে যান মনীষা।
এ নিয়ে বলিপাড়ায় নানারকম গুঞ্জন থাকলেও অবশেষে এই প্রসঙ্গে সরব হলেন তিনি। হিন্দি ছবির অভিনেত্রী হিসেবে দর্শকের মন জিতলেও ‘বম্বে’, ‘ইন্ডিয়ান’ এবং ‘মুধলবান’-এর মতো দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করে দক্ষিণের ফিল্মজগতেও নিজের আলাদা জায়গা করে নিয়েছিলেন মনীষা।
কিন্তু দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সাফল্যের সিঁড়িতে উঠতে গিয়েই নিজের ক্যারিয়ারে মুখ থুবড়ে পড়েন মনীষা। এর জন্য দক্ষিণের এক জনপ্রিয় অভিনেতার নামও নিয়েছেন তিনি। সেই অভিনেতা আর কেউ নন, রজনীকান্ত। দক্ষিণী ফিল্মজগতে রজনীকান্তকে অন্যতম গুরু হিসেবে মানা হয়। তিনি যে ছবিতেই অভিনয় করুন না কেন, মনে করা হয় তা হিট হবেই।
রজনীকান্ত অভিনীত খুব কম ছবিই ফ্লপ করেছে। কানাঘুষো শোনা যায়, রজনীকান্তের সঙ্গে যে নায়িকাই কাজ করতেন, তার ক্যারিয়ার তৈরি হয়ে যেত। কিন্তু মনীষার ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম ঘটল। ২০০২ সালে সুরেশ কৃষ্ণের পরিচালনায় মুক্তি পায় তামিল ছবি ‘বাবা’।
এই ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন রজনীকান্ত। এই ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন তিনি। রজনীকান্তের বিপরীতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মনীষা। রজনীকান্তের সঙ্গে কাজ করার আগে কমল হাসানের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন মনীষা।
অভিনেত্রী ভেবেছিলেন, রজনীকান্তের সঙ্গে কাজ করার পর তার কাছে আরও বেশি অভিনয়ের প্রস্তাব আসবে। সেই আশায় ছবি মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকেন মনীষা।
২০০২ সালে ১৫ আগস্ট মুক্তি পায় ‘বাবা’। কিন্তু ছবিটি বক্স অফিসে তেমন সাড়া ফেলেনি। মনীষাও খুব অবাক হয়ে যান। রজনীকান্তের কোনও ছবি যে ফ্লপ করতে পারে, তা ভাবতেই পারেননি তিনি।
‘বাবা’ ফ্লপ করার পর ক্যারিয়ারে প্রভাব পড়তে পারে তা আঁচ করতে পারেননি মনীষা। অভিনেত্রী ভেবেছিলেন, তারপরেও দক্ষিণী ছবিতে কাজ করবেন। কিন্তু ‘বাবা’ ফ্লপ করার পর তার কাছে অভিনয়ের প্রস্তাব আসা বন্ধ হয়ে যায়।