রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩, ০৯:০০:২৮

‘উপভোগ করার সুযোগ আমি একদম ছাড়ব না’

‘উপভোগ করার সুযোগ আমি একদম ছাড়ব না’

বিনোদন ডেস্ক : হয়তো শাড়ি পরা হবে না, তবে সালোয়ার-কামিজ অবশ্যই পরব। এবার জরুরি প্রয়োজনে আমাকে দেশের বাইরে আসতে হয়েছে। পহেলা বৈশাখের দিন এবার তাই বাংলাদেশে থাকতে পারিনি। প্রত্যেকবার বাংলাদেশে যেভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করি, দুর্ভাগ্যবশত সেটা এবার হলো না। 

এখান যেখানে আছি সেখানে হয়তোবা শাড়ি পরা হবে না, তবে সালোয়ার কামিজ অবশ্যই পরব। তার ওপর এবার যেহেতু রোজা চলছে, তাই এবার এখানে নববর্ষ উদযাপনে কিছুটা ভাটা পড়বেই। তাও যতটা সম্ভব হবে, ততটুকু উপভোগ করার সুযোগ ছাড়ব না।

পয়লা বৈশাখের স্মৃতি আমার কাছে এক একটা বয়সে এক এক রকম ছিল। এটা আসলে এমন একটা অনুষ্ঠান, যেটা ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সবার উৎসব। আর তাই এটা আমার কাছে এতটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং এটাই এই উৎসব নিয়ে আমার ভালো লাগার একটা অন্যতম কারণ।

এই উৎসবে আমার দেশের সব মানুষ একই রকম উদযাপনে মেতে ওঠেন, এটা কোনো ধর্মীয় উৎসব নয়। এ ছাড়া, ঈদ, পূজা, বৌদ্ধপূর্ণিমা, বড়দিন, সবই তো ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের। তবে পহেলা বৈশাখ সবার উৎসব। এই উৎসব আসলে আপামর বাঙালির।

পহেলা বৈশাখে সকলে একই রকম শাড়ি পরেন, এই দিনে ঢাকার রাস্তা তাই দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে। ছোট থেকে বড় সমস্ত ধরনের মানুষ, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই এই উৎসব উদযাপন করেন, আর সেটা বেশ আনন্দের সঙ্গেই।

আমার ছোটবেলার পহেলা বৈশাখ অবশ্য একটু অন্য রকমভাবেই কাটত। বাবার কর্মসূত্রে আমার ছোটবেলা কেটেছে মফস্বলে। কারণ, আমার বাবা সরকারি চাকরি করতেন, উনি বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডে ছিলেন। তাই বিভিন্ন জেলা শহরে আমরা থেকেছি। 

বেশ মনে পড়ে মফস্বলে থাকার সময় আম্মু ও তাঁর বন্ধুরা মিলে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আয়োজন করতেন। মহিলাদের যে ক্লাব থাকে, সেখানে আয়োজন হতো। আমরা বৈশাখী মেলায় যেতাম, যেটা এখন ভীষণ মিস করি। ওই মেলা একটা অন্যরকম ভালোলাগার জায়গা ছিল। 

মেলায় অনেককিছু পাওয়া যেত, সেখান থেকে বিভিন্ন জিনিস কেনা দারুণ আনন্দের ছিল। আর এখন তো কাজের সূত্রে সারা বছরই এখানে ওখানে যাই। বিভিন্ন কিছু কিনি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে