সোমবার, ০১ মে, ২০২৩, ০৩:১৫:৪৫

‘আমার একটি কিডনি বিক্রি করলেও একটা টি-শার্ট কিনতে পারব না’

‘আমার একটি কিডনি বিক্রি করলেও একটা টি-শার্ট কিনতে পারব না’

বিনোদন ডেস্ক: বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান কদিন আগেই ঘোষণা করেন পোশাকের ব্যবসার নামছেন তিনি। তার ব্র্যান্ডের নাম ডি’ ইয়াভোল (D’YAVOL)। এই ব্র্যান্ডটিকে ‘লাক্সারি স্ট্রিটওয়্যার’ ব্র্যান্ড হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে ছেলের ব্যবসায় মডেলিংও করছেন কিং খান।

রবিবার পথচলা শুরু করেছে ব্র্যান্ডটি। এর ওয়েবসাইট লঞ্চ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রাশ করে যায়। একাধিক লোক একসঙ্গে অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করতেই শুরু হয় গোলমাল। এরপর ব্র্যান্ডটি টুইটারে এক বার্তায় জানানো হয়, ‘আমরা খুব বেশি পরিমাণে ট্রাফিক এবং চেকআউটের সম্মুখীন হচ্ছি। অনুগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে থাকুন।’

পরে তারা ঘোষণা করে যে সাইটটি আবার লাইভ হয়েছে এবং ব্যবহারকারীরা সাইটটি সহজেই অ্যাক্সেস করতে পারবেন।

তবে এরপর সাইটটিতে পোশাকের দাম দেখেই মাথায় হাত অনেকের। টুইটারে শুরু হয় ট্রোল। এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, একাধিক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা দাম দেখে বেশ হতবাক হয়ে পড়েন। কমেন্ট সেকশনে যা উগড়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা।

একজন লিখেছেন, ‘খান সাহেব আমি আমার একটি কিডনি বিক্রি করলেও একটা টি-শার্ট কিনতে পারব না।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘দাম দেখতে এসেছিলাম। দাম দেখা হয়ে গেছে। চলে যাচ্ছি।’ অন্যজন লেখেন, ‘এসব পাগলামি। এত দাম দিয়ে পোশাক কেনে কারা, আমি তাদের দেখতে চাই।’

আরেক নেটিজন লেখেন, ‘টি-শার্ট ২৪ হাজার, জ্যাকেট ২ লাখ! এসবের কী মানে!’

ইনস্টাগ্রামের একটি অ্যাকাউন্ট ডায়েট সাব্য (Diet Sabya), যারা ফ্যাশন নিয়ে কাজ করে, সেই অ্যাকাউন্ট থেকে আরিয়ানের ওয়েবসাইট নিয়ে মতামত তুলে ধরা হয়েছে। ডি’ ইয়াভোল এক্স (D’YAVOL X) স্টোর থেকে একাধিক পোশাকের স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়েছে।

যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রিন্টেড ডিজাইনের একটি সাদা টি-শার্ট, দাম ২৪ হাজার রুপি। আরেকটি কালো হুডির দাম ছিল ৪৫ হাজার ৫০০ রুপি। একটি লেদার জ্যাকেটের দাম ২ লাখ রুপির বেশি।

সেই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘এসব কী হচ্ছে? কে এইসব পোশাকের দাম নির্ধারণ করেছে, তার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে