মঙ্গলবার, ০২ মে, ২০২৩, ১০:২৫:৪৬

খ্যাতির চূড়া থেকে অন্ধকারে, ভয়ঙ্কর পরিণতি নায়িকার!

খ্যাতির চূড়া থেকে অন্ধকারে, ভয়ঙ্কর পরিণতি নায়িকার!

বিনোদন ডেস্ক: গ্ল্যামার দুনিয়া বেশ চাকচিক্যে পরিপূর্ণ। যে কেউই খ্যাতি, অর্থ আর নাম পাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সেদিকেই ধাবিত হন। কিন্তু উপর থেকে আলো ঝলমলে দেখালেও অন্দরটা কিন্তু পুরোপুরি অন্ধকারে মোড়া। 

তাই সকলেই যে এই দুনিয়ার আলোটুকু পান, এমনটা নয়। বহু ছেলেমেয়েই খ্যাতির নেশায় তলিয়ে যান অন্ধকারের অতলে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল দক্ষিণী অভিনেত্রী নিশা নূরের ক্ষেত্রে। তার বেদনাদায়ক জীবনের গল্প জানলে আপনিও চমকে যাবেন।

দক্ষিণী ছবির দুনিয়ায় এক সময় বড়সড় স্থান অর্জন করেছিলেন নিশা। তার যুগের সবথেকে সুন্দরী অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। সৌন্দর্য ও অভিনয় দক্ষতার কারণে সাফল্যও এসেছে ব্যাপক। ফলে নিশার ঝুলিতে রয়েছে তামিল, মালয়ালম, কন্নড় ভাষার বহু সুপারহিট ছবিই।

শোনা যায়, ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত সাফল্যের শীর্ষেই ছিলেন নিশা। ১৯৮৬ সালে ‘কল্যাণ আগাথিগাল’ এবং ১৯৯০ সালে ‘আইয়ার দ্য গ্রেট’-এর মতো ছবিতে অভিনয়ের জন্য চূড়ান্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি। 

পর্দায় রোম্যান্স করেছেন রজনীকান্ত ও কমল হাসানের মতো সুপারস্টারদের সঙ্গে। এখানেই শেষ নয়, কে. বালাচন্দর, বিশু এবং চন্দ্রশেখরের মতো পরিচালকদের সঙ্গেও কাজ করেছেন অভিনেত্রী। এমনকী এও শোনা যায় যে, দক্ষিণ ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রত্যেক পরিচালকই তাকে নিয়ে ছবি করতে চেয়েছিলেন। 

কিন্তু এত সাফল্য যার ঝুলিতে, তার এমন পরিণতি হল কীভাবে। আসলে জনপ্রিয়তা ও খ্যাতির চূড়ায় থাকাকালীন আচমকাই পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে। ফলে পরিচালকরাও আর খ্যাতনামা অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করতে চাইছিলেন না। 

কাজ কমে আসতে থাকে। আর যার জেরে অর্থও কমে যেতে শুরু করে। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই দেহ ব্যবসা বা পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। আর সেখান থেকেই নিশার জীবনের খারাপ সময় শুরু হয়ে যায়।

শুধু যে আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হয়েছিল, তা নয়। এই'ডসের মতো ভ'য়'ঙ্কর ব্যাধির কবলেও পড়েছিলেন অভিনেত্রী। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছিল যে, ২০০৭ সালে নিশাকে এক দরগার বাইরে থেকে উদ্ধার করা হয়। কোটরগত চোখ, অস্থি-চর্মসার চেহারা দেখে ঠাহরই করা যাচ্ছিল না এক সময়ের ডাকসাইটে সুন্দরী অভিনেত্রীকে। 

এমনকী, শেষ অবস্থায় তার শরীরে পোকা ধরে গিয়েছিল বলেও দাবি করা হয় সংবাদমাধ্যমের কিছু রিপোর্টে। অবশেষে ২০০৭ সালের ২৩ এপ্রিল তার সমস্ত কষ্টের অবসান ঘটে। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নিশা নূর।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে