বিনোদন ডেস্ক: রাজনীতি কি শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাই করতে পারেন? একেবারেই না! রাজনীতির রেশ থাকতে হয় মনে এবং অবশ্যই পরিচালককে বাঁধতে হয় ঠাসা একটা গল্প। রাজনীতির সঙ্গে বাংলা যেমন আপাদমস্তক জড়িয়ে তেমনই এই ছবির সঙ্গেও কিন্তু দিতিপ্রয়া ভয়ঙ্কর ভাবে জড়িয়ে।
দিতিপ্রিয়া রায় বলেন, রাসমণির পর এমন একটা চরিত্র করলাম যে দিতিপ্রিয়ার থেকে একদম আলাদা। আমি আর পাঁচটা মেয়ের সঙ্গে ওঁর মিল পাই না। কোনও রেফারেন্স পাইনি। এছাড়া তাবড় তাবড় সব অভিনেতাদের সঙ্গে বলতেই পারো, এটা একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা।
রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, সমস্তটাই আমাদের পরিচালকের কল্পনাপ্রসূত বিষয়। ওর মাথা থেকেই এসব বেড়িয়েছে। হ্যাঁ, এটা বলতে পারি যে আমরা যেখানে বাস করি সেখানের কিছু ইনফ্লুয়েন্স তো থাকবেই। আমরা তো আমাদের জায়গায় সঙ্গে আমেরিকা-ব্রিটেনকে মেলাতে পারব না।
দিতিপ্রিয়া বলেন, এই ছবিটায় জানো তো, পুরোদস্তুর রাজনীতি দেখানো হয়েছে। রাজনীতিবিদদের পলিটিক্স থেকে শুরু করে, সাধারণ মানুষ, বাড়ির ভিতরে বাইরে সর্বত্র রাজনীতি দেখানো হয়েছে। প্রতিটা ক্লাসের মধ্যে রাজনীতি কী করে হয় সেটা দেখানো হয়েছে। আমার মনে হয়, মানুষের কাছে ধরণ একটু হলেও পরিষ্কার হবে।
অভিনেত্রী বলেন, প্রত্যক্ষ ভাবে বলব না আমি যে রাজনীতির শিকার হয়েছি। তবে, আমার আড়ালে কি হয়নি? অবশ্যই হয়েছে। আমরা প্রত্যেকে এর শিকার, কোনও না কোনওভাবে। কিন্তু যেহেতু আমি চোখে দেখিনি, আমার কাছে প্রমাণ নেই, আর তারা এতটাই ভাল রাজনীতিবিদ যে বিষয়টা আমি অবধি আর পৌঁছায় নি… ( হাসি )।