শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩, ০১:৩৫:৫৬

ছেলে পারেনি, দুঃখে ভেঙে পড়েন মিঠুন চক্রবর্তী

ছেলে পারেনি, দুঃখে ভেঙে পড়েন মিঠুন চক্রবর্তী

বিনোদন ডেস্ক: মহাক্ষয় চক্রবর্তী, ওরফে মিমো, সম্পর্কে তিনি মিঠুন চক্রবর্তীর বড় ছেলে। বাবার মতোই স্বপ্ন ছিল অভিনেতা হবেন। ঘটা করে সিনেমায় ডেবিউও হয় তার। কিন্তু না, এ যাবৎ বাবার মতো সুপারস্টার হওয়া তার হয়নি। 

বাবার সঙ্গে তার নিত্য চলে তুলনা, চলে সমালোচনা। তবে এবার এক সাক্ষাৎকারে পরিবারের এমন কিছু কথা শেয়ার করলেন মিমো যা শুনলে অবাক হতে হয়। ২০০৮ সালে ‘জিমি’ নামক এক ছবির মধ্যে দিয়ে বলিউডে ডেবিউ হয় মিমোর। ছেলের ছবির প্রচারে এতটুকুও খামতি রাখেননি ‘মহাগুরু’। 

যদিও ওই ছবি বক্সঅফিসে শুধু ফ্লপই নয়, রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ে। মিমো জানিয়েছেন পরিবারের কাছে সে সময়টা মোটেও ভাল ছিল না। গোটা পরিবার এমনকি বাবাও ভেঙে পড়েছিলেন দুঃখে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মিমো জানান, তাঁর কাজ নিয়ে এতটাই সমালোচনা করা হয় যে এক প্রতিবেদনে লেখা হয়, জুনিয়র আর্টিস্ট হওয়ার জন্যও নাকি যোগ্য নন মিমো। 

ছেলের সমালোচনা বড় প্রভাব ফেলেছিল বাবা-মায়ের উপরেও। ছেলেকে যা শুনতে হয়েছিল তা মানসিক ভাবে ভেঙে দেয় ওই দুইজন মানুষকে, জানিয়েছেন মিমো। মিমোর কথায়, “স্বজনপোষণ যে সত্যি নেই আমি তাঁর জ্বলন্ত উদাহরণ। যদি তাই হতো এতদিনে আমি আমার ৪ অথবা ৫ নম্বর ছবিটা করে ফেলতাম।”

মিঠুনের ছেলে বলেন, “সবার মতো আমি এখনও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। এরকমও হয়েছে, কাজ পাইনি। অডিশন দিয়েছি, ব্যর্থ হয়েছি। সব অডিশনে গিয়েছি। টিভি হোক, সিনেমা হোক– সব করেছি। এমনকি যে তিনটে ছবি করেছি সেটাও কিন্তু নিজের যোগ্যতায়। অডিশনে পাস করেছি বলে। তাই নিজের কাজ নিয়ে আমি গর্বিত।” 

জিমির পর মহাক্ষয়ের কাছে আরও দুইটা ছবির অফার পৌঁছায়। একটি হল ‘হন্টেড ৩-ডি ও অন্যটি ‘এনেমি’। হন্টেড বক্স অফিসে তাও চললেও পরেরটি হিট হয়নি। যদিও তা নিয়ে আক্ষেপ নেই মহাক্ষয়ের। তিনি তাকিয়ে রয়েছেন ভাল অফারের দিকে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে