বিনোদন ডেস্ক: ১৪ জুন ২০২০ থেকে ১৪ জুন ২০২৩। তিন তিনটে বছর পার হয়ে গেল সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর। আজও তার মিষ্টি হাসি অনুরাগীদের মনে অমলিন। তবে সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে ধন্ধ এখনও কাটেনি। তিন বছরেও অভিনেতার মৃত্যু মামলায় চার্জশিট দিয়ে উঠতে পারেনি সিবিআই।
মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিরও কোনও আশা দেখা যাচ্ছে না। ২০২০ সালে বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে যখন সুশান্তের ঝুল'ন্ত দেহ উদ্ধার তার বয়স ছিল ৩৪। প্রথমে মুম্বাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। সে সময় ময়না তদন্তের রিপোর্টে আত্মহ'ত্যার তত্ত্বের উপরই জোর দেওয়া হয়।
এরপরই সুশান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে রিয়া চক্রবর্তীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে পাটনা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সে বছরের জুলাই মাসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট আর্থিক তছরুপের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে। ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে সুশান্ত মৃত্যুর মামলার দায়িত্ব নেওয়ার অনুমোদন দেয়।
সিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করার পর সুশা'ন্তের ময়নাতদ'ন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট নতুন করে খতিয়ে দেখেন এইমসের বিশেষজ্ঞরা। জানানো হয়, অভিনেতার শরীরে অস্বাভাবিক কোনও লক্ষ্মণ দেখা যায়নি।
সংস্থার ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সুধীর গুপ্ত জানিয়ে দেন, আত্মহ'ত্যাই করেছেন বলিউড অভিনেতা। কিন্তু তারপরও সিবিআই আরও কয়েকটি বিষয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু সেই তদ'ন্তের চার্জশিট এখনও জমা পড়েনি।
এদিকে সুশান্তের মৃত্যুর পর মাদক যোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। মাদক মামলাতেই রিয়া ও তাঁর ভাই সৌভিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। দীপিকা পাড়ুকোন, শ্রদ্ধা কাপুর, সারা আলি খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু মাদক মামলার সঙ্গে সুশান্তের মৃত্যুর কোনও স্পষ্ট যোগ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
মুম্বাই পুলিশের কমিশনার পরমবীর সিং বলেছিলেন, সুশান্ত গুগলে ‘বাইপোলার ডিজঅর্ডার’, ‘স্কিৎজোফ্রেনিয়া’, ‘যন্ত্রণাহীন মৃত্যু’র বিষয়ে খোঁজ করেছিলেন। তাহলে অভিনেতা মানসিক অবস্থা কতটা খারাপ ছিল? এই বিষয়টিও খুব একটা পরিষ্কার হয়নি।