বিনোদন ডেস্ক: স্বাধীনতা সংগ্রামী বীণা দাসের জীবনী সৃজিত মুখার্জীকে ছুঁয়েছিল। বাড়ি বসে তিনি খুঁটিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন ব্রিটিশবিরোধী অগ্নিকন্যা বীণার উপরে। যিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন হলে বাংলার গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসনকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
যার জন্য ৯ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছিল তার। স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবনী নিয়ে তিনি যে ভাবছেন, এমন আভাস দিয়েছিলেন এবং হাল্কা জানিয়েছিলেন, ছবি করতে চলেছেন বীণা দাসকে নিয়ে। শনিবার সেই সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছে।
খবর, জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক স্বাধীনতা সংগ্রামীর চরিত্রের জন্য দিতিপ্রিয়া রায়কে বেছেছেন। দিতিপ্রিয়ার কথায়, ‘‘গত তিন বছর ধরে সৃজিতদার সঙ্গে কথা হচ্ছে। এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি। সব ঠিক থাকলে হয়তো যে রকম শোনা যাচ্ছে, সে রকমই কিছু ঘটতে পারে।’’
এই ছবিকে ঘিরে সৃজিত এবং দিতিপ্রিয়া অনেক কিছুই দু'বার করে করতে চলেছেন। যেমন? নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে ‘গুমনামী’ বানানোর পরে সৃজিত আবার স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবন ক্যামেরায় ধরছেন। ‘রানি রাসমণি’র পর আবারও ঐতিহাসিক চরিত্রে দিতিপ্রিয়া।
‘রাজকাহিনী’র পরে এবং সৃজিতের সঙ্গে এটি তার দ্বিতীয় ছবি। ফোনে কথা বলতে গিয়ে ছোটপর্দার ‘রানিমা’ তাই উত্তেজিত। জানালেন, তিনি গত তিন বছর ধরে বারেবারে পরিচালকের সঙ্গে বসেছেন। দু’জনে অনেক আলোচনা করেছেন। এখনও পুরোটাই আলোচনা স্তরে।
খুব ছোট বয়সে ‘রাজকাহিনী’তে অভিনয়ের জন্য রাজি হয়েছিলেন সৃজিতের জন্যই। এ বারেও তার ষোল আনা ভরসা পরিচালকের উপরে। কেন এত দিন সময় নিচ্ছেন পরিচালক? প্রশ্ন ছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পর্দার ‘খুকু’র কাছে।
তাঁর যুক্তি, যে কাজ সময় নিয়ে করা যায়, সেই কাজটিই সেরা হয়। পরিচালক সেই জন্যই হয়তো সময় নিচ্ছেন। একই সঙ্গে এও জানিয়েছেন, তিন বছর আগে যখন কথা শুরু হয়েছিল তখন তিনি আরও ছোট, অপরিণত ছিলেন। তিন বছরে তিনি আগের তুলনায় অনেকটাই এগিয়েছেন। পরিচালক হয়তো এই কারণেও অপেক্ষা করেছেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামী বললে চট করে যাদের নাম মনে পড়ে বীণা তাদের দলের নন, কথা ফুরনোর আগেই দিতিপ্রিয়া সরব, ‘‘সৃজিতদার পছন্দ সব সময়ে সবার থেকে আলাদা। এতদিন বীণা দাসের কথা কেউ বলেননি। পরিচালক তাকে বেছেছেন, সবার সামনে তুলে ধরবেন বলেই।’’