সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩, ১১:০৯:৩৩

বাঁচতে চাননি ইরা খান, আমির-কন্যার কঠিন সিদ্ধান্ত!

বাঁচতে চাননি ইরা খান, আমির-কন্যার কঠিন সিদ্ধান্ত!

বিনোদন ডেস্ক: তিনি তখন সুদূর নেদারল্যান্ডে। পড়াশোনায় ব্যস্ত। সেই সময় মা-বাবার বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতেই পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছিল ইরা খানের। তার মা-বাবা আমির খান-রিনা দত্ত আর একসঙ্গে থাকবেন না।

গোটা বিষয়টা বুঝতেই তার বেশ কিছুটা সময় লেগে গিয়েছিল। তারপরে অবসাদে ভেঙে পড়েছিলেন। পড়াশোনা ছেড়ে দেশে ফিরতেও চেয়েছিলেন। খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন আমির-রিনার কন্যা। সম্প্রতি, তিনি অগাস্তু ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন। 

এই প্রতিষ্ঠান অবসাদের সঙ্গে লড়তে থাকা মানুষদের পাশে দাঁড়াবে। প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বলতে গিয়ে নিজের অবসাদের কথা বলেন তিনি। জানান, পাঁচ বছর আগে তিনি খুব কাছ থেকে মনের এই সমস্যাকে দেখেছেন। আজ তাই তিনি অবসন্নদের পাশে।

কী হয়েছিল সেই সময় ইরার সঙ্গে? আমির-কন্যার কথায়, ‘‘প্রথম প্রথম কিছুই বুঝতে পারিনি। পরে দেখলাম, আমার ব্যক্তিত্ব বদলে যাচ্ছে! টানা চার দিন খেতে পারিনি। দিনে ১০ ঘণ্টা ঘুমিয়েই কাটাতাম। ৪ ঘণ্টা ধরে কান্নাকাটি। এটাই আমার রুটিন হয়ে গিয়েছিল।’’ 

ইরার মা রিনা বুঝতে পেরেছিলেন, তার মেয়ে বাঁচতে চাইছে না। তাই দিনের বেশির ভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটায়। নয়তো কান্নাকাটি করে। খাওয়াদাওয়াও ঠিক মতো করে না। এরপরেই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় ইরাকে।

টানা দেড় মাস অবসন্নতায় ভুগেছিলেন ইরা। চিকিৎসা করাতে গিয়ে জেনেছিলেন, বিষণ্ণতার এই পর্যায় চক্রাকারে ফিরে আসে। প্রতি আট বা ১০ মাসে ফের থাবা বসাতে পারে কোমল মনে। তার দাবি, নানা কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিছুটা বংশগত। কিছুটা মনস্তাত্ত্বিক কারণে। এবং অনেকটাই পারিপার্শ্বিক বা সামাজিক কারণে। 

এর জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ রয়েছে। পাশাপাশি, মনের কথা খুলে বলার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েও যেতে হয়। তবে ইরা মনে করেন, সবটাই নিজের ইচ্ছের উপরে নির্ভর করে। ইতিবাচক ইচ্ছে এবং মনের জোর থাকলে এই সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে