বিনোদন ডেস্ক: সদ্য প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার সাংসদ নুসরাতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত এবং বর্তমান কর্মচারীদের ফ্ল্যাট বিক্রির নাম করে কয়েকশো কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
শুধু নুসরাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২৪ কোটি টাকা প্রতারণার। এই খবর সামনে উঠে আসতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। নুসরাতের বিরদ্ধে তদন্তে নেমে অভিযোগের সত্যতাও খুঁজে পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে নুসরাতের সঙ্গে সঙ্গে টলিউডের আর এক ডিভাও রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলেন। তিনি মিমি চক্রবর্তী।
মিমি ও নুসরাত দুই নায়িকাই একে-অপরকে ‘বনুয়া’ বলে সম্বোধন করেন। তাদের মধ্যে একসময় সম্পর্কও ছিল বেশ গাঢ়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কখনও ফিকে হয়েছে, কখনও আবার হয়েছে রঙিন। তবে প্রতারণার অভিযোগে নুসরাত বিদ্ধ হলেও মিমি চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনও অভিযোগ কখনও ওঠেনি।
শুধু প্রতারণার অভিযোগই নয়, পার্ক স্ট্রিট ধ'র্ষ'ণ-কাণ্ডেও উছেঠিল নুসরাত জাহানের নাম। অতীতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলতেও দেখা যায় মিমি চক্রবর্তীকে। মিমি চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, "কোথাও গিয়ে কি রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে আপনার ভয় হয় না যে, জামায় কালি লেগে যাবে?"
বিন্দুমাত্র না ভেবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উত্তর দিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী, "ভয় তো তাদের হবে, যারা দুর্নীতিটা করেছে। আমার ভয় কীসের জন্য হবে? আমি তো কোনও দিন দুর্নীতি করিনি। আমি এর অংশও নই।”
এরপর মিমির সংযোজন, "আমি এই দলে এসেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণে। আর এই দলেও ততদিন থাকব, যতদিন উনি আমায় চাইবেন।” এরপর দলবদল প্রসঙ্গ টানলে মিমি হাসি মুখে বলেন, "এর উত্তর সময় দেবে। সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবেই ঠিক সময় এর উত্তর পাওয়া যাবে।”