বিনোদন ডেস্ক: এবারের দুর্গা পুজায় যেকটি সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে সেই তালিকায় রয়েছে সৃজিত মুখার্জীর ‘দশম অবতার’। ছবিটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহও যথেষ্ট। কারণ, ‘২২ শে শ্রাবণ’ ছবিতে ‘প্রবীর রায়চৌধুরী’ ওরফে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জীর মৃত্যু দেখানো হয়েছিল।
সেই তিনি আবারও ফিরছেন। সঙ্গী ‘ভিঞ্চি দা’র এসিপি পোদ্দার। নতুন সংযোজন যিশু সেনগুপ্ত, জয়া আহসান। সৃজিতের ‘পুলিশ ব্রহ্মাণ্ড’-এ এবং বাংলা ছবিতে এই প্রথম মহিলা পুলিশ! শুটের জন্য জায়গা দেখা থেকে ‘দশম অবতার’-এর লোগো— সব খবরই পরিচালক অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
২২ জুলাই থেকে শুট শুরু হলে ‘প্রবীর রায়চৌধুরী’র পুরনো আস্তানা ‘বসু বাড়ি’তে। সেই জায়গাতেই ১২ আগস্ট শুট শেষ। এবং সেখানেই প্রসেনজিৎকে সৃজিত জানালেন, তিনি মুদির দোকান চালান না! তখন ভোর তিনটে। রাস্তাঘাট শুনশান। শহর গাঢ় ঘুমে অচেতন। কেবল, হাতেগোণা কিছু মানুষের চোখে ঘুম নেই।
তাঁরা ছবির শেষ শুটে ব্যস্ত। তালিকায় প্রসেনজিৎ স্বয়ং। আর ‘এসিপি পোদ্দার’ ওরফে অনির্বাণ ভট্টাচার্য, জয়া আহসান, পরিচালক এবং কলাকুশলীরা। শুট শেষ হতেই উল্লাস। ক্যামেরার সামনে তারাদের নিয়ে পরিচালক। তাদের পিছনে বাকিরা।
ভাগ করে নেওয়া ভিডিও ঝলকে প্রসেনজিৎ বললেন, ‘‘এখন ভোর তিনটা। আমরা শুটিং শেষ করলাম। পোদ্দারের সঙ্গে একটা লম্বা জার্নি।’’ ছাই রঙের সাফারি স্যুট, ছোট করে ছাঁটা চুল, হাতে পিস্তল। সব মিলিয়ে পুরোদস্তুর পুলিশ ‘বুম্বাদা’। অনির্বাণের পরনে গাঢ় নীল শার্ট, কালো প্যান্ট।
জিন্স আর হাতাকাটা অ্যাসিমেট্রিক্যাল টপে সুন্দরী জয়া। সব মিলিয়ে টানা শুটের পরে একটু অবসরের মেজাজ। প্রসেনজিৎ জানান, পুজোয় ছবিমুক্তি। দর্শকদের অপেক্ষার অবসান তখনই। একই সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন জয়ারও। সঙ্গে সঙ্গে নায়িকার খুনসুটি, ‘‘আমার কথা বল! কিছুই তো বলছ না।’’
তারপরেই গলা নামিয়ে সৃজিতের প্রশ্ন, ‘‘প্রবীরবাবু, আপনার কেমন লাগল শুটটা করে?’’ সঙ্গে সঙ্গে প্রসেনজিৎ নীচু গলায় সংলাপ আউড়ে ওঠেন, ''বাবু না, স্যর। প্রবীর স্যর''! শুনেই পরিচালকের দরাজ হাসি। দাবি, ‘‘আমি মুদির দোকান চালাই না!’’
সঙ্গে সঙ্গে হাসিতে ফেটে পড়েন অনির্বাণ-সহ বাকিরা। এভাবেই হইচই করতে করতে শুট শেষ। ভিডিও দেখে আপ্লুত অনুরাগীরা। তাদের কেউ লিখেছেন, "প্রবীরের শেষ" হলে চলবে না, মানব না!’ বহুজন সৃজিতের কথাও দারুণ উপভোগ করেছেন। পাশাপাশি, অভিনন্দনও জানিয়েছেন সবাইকে।