বিনোদন ডেস্ক: ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন দর্শনা বণিকের জন্মদিন। আগের রাতে সবাই যখন স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মাতেন, নায়িকা মাতেন প্রাক জন্মদিনের উৎসবে। কেক কাটা, বন্ধুদের সঙ্গে হুল্লোড়, বাবা-দাদার আশীর্বাদ দিয়ে জন্মদিন শুরু তার।
এমন দিনে জন্মদিন, জানার পর থেকে নিশ্চয়ই গর্ব হয়? শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তার কাছে প্রশ্ন রেখেছিল। মিষ্টি করে জবাব দিলেন তিনি, ‘‘সে তো হয়ই! আরও মজার কথা জানেন, ছোটবেলায় স্কুলে বা অন্য কোথাও যখন বলতাম, স্বাধীনতা দিবসের দিনে জন্মেছি— কেউ বিশ্বাস করতেই চাইত না। সবাই ভাবত গল্প দিচ্ছি!’’
নায়িকার কথায়, ‘‘ছোট থেকেই ধুমধাম করে আমার জন্মদিন হয়। বন্ধুরা, পরিবার, কাছের মানুষদের নিয়ে। সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন। সব মিলিয়ে সত্যিই ব্যস্ত থাকি। তবে এ বছর খুব সাদামাঠা ভাবে দিনটা কাটানোর চেষ্টা করছি। ইচ্ছে হয়, একটা দিন একান্তে নিজের সঙ্গে সময় কাটাই। এ বছর সেটাই চেষ্টা করছি।’’
খাওয়া দাওয়ার কথা বলতে বলতেই কি অল্প বিষণ্ণ নায়িকা? ছোট্ট শ্বাস ফেলে সংযোজন, ‘‘আজ মা বেঁচে থাকতে কিছুতেই এত সাদামাঠা আয়োজন করতে দিত না। নিজের হাতে আরও কত পদ রাঁধত!’’ দর্শনার বাড়িতে রান্নার দায়িত্বে থাকা দুই ‘দিদি’ অবশ্য সেই অভাব মিটিয়ে দিয়েছেন।
সঙ্গে বন্ধুদের দেওয়া প্রচুর উপহার। নিজেও নিজেকে উপহার দিয়েছেন। দর্শনার বাবা গত বছর মেয়েকে গিটার উপহার দিয়েছিলেন। এ বছর? সারপ্রাইজ, তাই এখনও বাবা মেয়েকে জানাননি কিছু। সৌরভ দাস আসবেন? বিশেষ দিনে সৌরভ-দর্শনার বিশেষ সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসবে?
আবারও মিষ্টি হাসি। জবাব, ‘‘কী ঘোষণা করব? আমরা খুব ভাল বন্ধু।’’ সকালে বাড়িতে। বিকালে বন্ধুদের সঙ্গে বেরোবেন দর্শনা। তেরঙার সবুজ রং থাকবে তার পাশ্চাত্য পোশাকে। অল্প খাওয়া দাওয়া, কেক কাটা আর ছবি দেখবেন বহুদিন পরে।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবেন ‘গদর ২’ দিয়ে। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭৭ বছর আগে। দর্শনা নিজেকে কতটা স্বাধীন মনে করেন? বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর সঙ্গে সঙ্গে, ‘‘আমি খুব স্বাধীন মনের মানুষ। আশা, আগামীতে জীবন আরও স্বাধীন হবে।’’