বিনোদন ডেস্ক: বিজেপি সাংসদ এবং অভিনেতা সানি দেওল আজতকের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বলেন যে তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। তিনি বলেন, অভিনেতা থাকাটাই আমার পছন্দ। আমি মনে করি একজন অভিনেতা হিসেবে দেশের সেবা করা উচিত, যা আমি করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, তুমি একটাই কাজ করতে পারো। একসঙ্গে অনেক কাজ করা অসম্ভব। যে চিন্তা নিয়ে রাজনীতিতে এসেছি, অভিনেতা হয়েও সেসব কাজ করতে পারি। অভিনয় জগতে আমার মন যা চায় তাই করতে পারি। কিন্তু আমি যদি রাজনীতিতে কিছু কমিট পূরণ করতে না পারি, তাহলে সেটা সহ্য করতে পারি না। আমি এটা করতে পারব না।
সানি দেওলের সাংসদ হিসাবে লোকসভায় উপস্থিতি মাত্র ১৯ শতাংশ, এ প্রসঙ্গে সানি দেওল বলেন, আমি সংসদে গেলে দেখি, দেশ চালানোর লোকেরা এখানে বসে আছেন, সব দলের নেতারা বসে আছেন। কিন্তু এখানে এরা কীভাবে আচরণ করেন যখন আমরা অন্য লোকেদের এমন আচরণ না করতে বলি।
তিনি বলেন, এসব দেখলে মনে হয় আমি এমন নই, অন্য কোথাও যাওয়াই ভালো। আমি এখন কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই না। চলচ্চিত্র অভিনেতা সানি দেওল ২০১৯ সালে তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলেন, সানি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর আসন থেকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে দাঁড়ান।
গুরুদাসপুরের মানুষ সানি দেওলকে ৮৪ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে বিশাল জয় দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছিল। নির্বাচনী প্রচারের সময় লোকসভা কেন্দ্রের জনগণকে বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ করা তো দূরের কথা, জয়ের পর তিনি গুরুদাসপুরে যাননি।
এ নিয়ে গুরুদাসপুরের জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে। বিরোধীরাও সানি দেওলের নির্বাচনী এলাকায় লাগাতার অনুপস্থিতি এবং লোকসভায় অনুপস্থিতিকেও ইস্যু করতে শুরু করেছে। সম্প্রতি গুরুদাসপুরে তার বিরুদ্ধে মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
গুরুদাসপুরের মহল্লা সন্ত নগরের ভোটাররাও সানি দেওলের সদস্যপদ বাতিলের দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখেছিল। অমরজোত সিং তার চিঠিতে লিখেছেন যে সানি দেওল প্রায় চার বছর ধরে তার লোকসভা কেন্দ্রে অনুপস্থিত। গুরুদাসপুরের মানুষ তাকে অনেক আশা নিয়ে নির্বাচিত করেছিল।