বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১২:৩৭:০৯

ফোনে খবরটি পেয়েই হাউমাউ কাঁদলেন মৌসুমী

ফোনে খবরটি পেয়েই হাউমাউ কাঁদলেন মৌসুমী

বিনোদন ডেস্ক: চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মৃত্যুর খবর শুনে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। বুধবার সন্ধ্যায় নিজ বাসায় ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হয় সোহানের। এর একদিন আগেই মারা গিয়েছিলেন এই পরিচালকের স্ত্রী। 

ফোনে প্রিয় পরিচালকের মৃত্যুর খবর শুনতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মৌসুমী। কারণ সোহানের হাত ধরেই চলচ্চিত্রে পথচলা শুরু হয়েছিল তার। 

এদিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফোনের ওপাশ থেকে মৌসুমী বলেন, ‘গতকাল ভাবি চলে গেলেন। আজ শুনি আমাদের সোহান ভাইও নেই....।’ এরপরই আর কথা বলতে পারছিলেন না এই অভিনেত্রী। ফোনটি তুলে দেন স্বামী ওমর সানীর হাতে। এরপর ওমর সানী সোহানুর রহমান সোহানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সবাইকে দোয়া করতে বললেন। 

বাংলাদেশের কালজয়ী সিনেমা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ছবি। যেই ছবি নির্মাণ করেছিলেন সোহান। তার হাত ধরেই অভিষেক ঘটেছিল মৌসুমী ও সালমান শাহ’র। এই সিনেমার নায়ক প্রয়াত হয়েছেন অনেক আগেই। এবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন সোহানও।

১৯৭৭ সালে পরিচালক শিবলি সাদিকের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সোহানুর রহমান সোহান। এরপর শহীদুল হক খানের ‘কলমিলতা’ (১৯৮১), এজে মিন্টুর ‘অশান্তি’ (১৯৮৬) ও শিবলি সাদিকের ‘ভেজা চোখ’ (১৯৮৮) সিনেমায় সহকারী হিসেবে কাজ করেন। একক ও প্রধান পরিচালক হিসেবে তার প্রথম সিনেমা ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’ (১৯৮৮)। এছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির টানা দুবার মহাসচিব এবং দুইবার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো ‘আমার দেশ আমার প্রেম’, ‘স্বজন’, ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘স্বামী ছিনতাই’, ‘আমার জান আমার প্রাণ’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘কোটি টাকার প্রেম’, ‘সে আমার মন কেড়েছে’, ‘দ্য স্পিড’ ও ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’ ইত্যাদি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে