বিনোদন ডেস্ক : বলিউডে সবচেয়ে আলোচিত বিয়েগুলোর মধ্যে ঐশ্বরিয়া-অভিষেকের সাতপাকে বাঁধার ঘটনা মনে থাকবে বহুদিন। বলিউড শাহেন শাহর ছেলের বিয়ে বলে কথা! পাত্রীও নম্বর ওয়ান নায়িকা ও মিস ইউনিভার্স। ১৫ বছর আগে ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল চাঁদেরহাট বসেছিল বচ্চন পরিবারে। বলিউড-টালিউডের নামিদামি তারকারা এ বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন।
আবার এ বিয়েতে বিপত্তিও ঘটে গেছে। বিয়ের দিন বচ্চন পরিবারের বাড়ির বাইরে হুলস্থুল পড়ে যায়। জাহ্নবি কাপুর নামে মুম্বাইয়ের এক মডেল ও নৃত্যশিল্পী ঐশ্বরিয়ার বিরুদ্ধে ‘স্বামী’ চুরির অভিযোগ আনে সেদিন। জাহ্নবি জানান, অভিষেক এবং ঐশ্বর্যর বিয়ে নিয়ে তিনি একেবারেই খুশি নন। তিনি আরও দাবি করেন, অভিষেক তাকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করেছেন।
বচ্চন পরিবারের বিলাসবহুল আবাসন ‘প্রতীক্ষা’র বাইরে সেদিন জাহ্নবি সাংবাদিকদের জানান, তিনি এবং অভিষেক দুই বছর ধরে একে অপরের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন। ২০০৬ সালে অভিষেক তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, অভিষেক অভিনীত একটি সিনেমায় তিনি নেপথ্য নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেছিলেন। সেখান থেকেই তার অভিষেকের সঙ্গে পরিচয়।
হবু স্বামীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর ঐশ্বরিয়ার মাথা খারাপই হয়ে যাওয়ার কথা। তবে শান্ত ছিলেন বিশ্ব সুন্দরী।
জাহ্নবি শুধু এতেই ক্ষান্ত হননি। সাংবাদিকদের সামনে হাত কেটে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন জাহ্নবি। জুহু থানায় অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তাকেই গ্রেফতার করে। জনসমক্ষে আত্মহত্যার চেষ্টা করার জন্য তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে শাস্তিস্বরূপ ১০ হাজার টাকার জরিমানা চেয়ে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
জাহ্নবি অভিষেকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনলেও কোনো উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারেননি। তার দাবি ছিল, সত্যিকারের ভালোবাসায় প্রমাণের দরকার হয় না।
ঐশ্বর্যের সাবেক প্রেমিক সালমানের কারণে অভি-অ্যাশের বিয়ে নিয়ে আগে থেকে বিতর্ক তো ছিলই। তবে জাহ্নবিকাণ্ড বিতর্কে সেদিন নতুনমাত্রা যোগ করেছিল। তবে এ বিষয়ে বচ্চন পরিবার কোনো মন্তব্য করেনি আজও।