বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেত্রীদের তালিকায় প্রীতি জিন্টার নাম রয়েছে। তবে তার ক্যারিয়ার যখন ডুবতে বসেছিল তিনি বলিউডের হীরা ব্যবসায়ী ভরত শাহ এবং আন্ডারওয়ার্ল্ডের অন্যান্য লোকেদের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিলেন। এরপর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে ধীরে ধীরে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে আন্ডারওয়ার্ল্ড।
২৩ বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল ‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’। এই ছবিতে অভিনয় করেন সালমান খান, রানী মুখার্জি ও প্রীতি জিন্টা। ছবিটির পরিচালক ছিলেন আব্বাস মাস্তান ও প্রযোজনা করেন ভরত শাহ। ১৩ কোটি টাকার বাজেটে তৈরি হয় এই ছবিটি এবং বক্স অফিসে ৩৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।
কিন্তু এই ছবিটি প্রীতি জিন্টা সহ অন্যান্য তারকাদের সমস্যায় ফেলেছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন ছোটা শাকিলের টাকা এই ছবিতে বিনিয়োগ করা হয়েছিল। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ছবির প্রযোজক ভরত শাহের সাথে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়।
সেইময় শাহরুখ, সালমান এবং রানী মুখার্জিও আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে ফোনে হুমকি পেয়েছিলেন। এরপর তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেও আদালতের সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তারা সবাই পিছু হটে। কিন্তু তাদের মধ্যে একমাত্র প্রীতি জিন্টাই তার লক্ষ্যে অটল ছিলেন। প্রীতির বক্তব্যে ভারত শাহকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিনেত্রীর এই সাহসিকতায় কেঁপে উঠেছিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। সেই সঙ্গে জনসাধারণের চোখে সিংহী হয়ে উঠেছিলেন প্রীতি। এই ঘটনার পর বক্স অফিসে একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিতে থাকেন প্রীতি। এই তালিকায় ‘কাল হো না হো, বীরজারা, কোই মিল গ্যয়া, দিল হ্যায় তুমারা-র মতো চলচ্চিত্রগুলি রয়েছে।
তবে এরপর প্রীতি ধীরে ধীরে চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে যান। তিনি আইপিএলে পাঞ্জাব দলে বিনিয়োগ করে নিজের জন্য একটি ভিন্ন পথ তৈরি করেন এবং নিজেকে আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে বাঁচিয়ে নেন।