শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১২:২৩:২৩

জীবনের বড় ভুল কি ছিল জানালেন সুনিধি চৌহান

জীবনের বড় ভুল কি ছিল জানালেন সুনিধি চৌহান

বিনোদন ডেস্ক : ২০০২ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করেন বলিউড গায়িকা সুনিধি চৌহান। কোরিয়োগ্রাফার-পরিচালক আহমেদ খানের ভাই ববি খানের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন গায়িকা। তবে সুখ জুটেনি কপালে। মাত্র এক বছরের মধ্যে তাদের দুজনের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।

২০০৩ সালে ববির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় সুনিধির। প্রথম বিয়েকে নিজের জীবনের ‘বড় ভুল’ হিসাবে দেখেন গায়িকা। এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন- বলিউড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র সুনিধি চৌহান।

সুনিধি চৌহান চার বছর বয়স থেকে সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত। ১১ বছর বয়স থেকে সঙ্গীতকে পেশা হিসাবে বেছে নিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন সুনিধি চৌহান। কেরিয়ারে হাজারের ওপর গান গেয়েছেন সুনিধি। সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছলেও প্রথম বিয়ে, বিচ্ছেদকে জীবনের বড় ভুল হিসাবে দেখেন তিনি।

সুনিধি বলেন, আমি জীবনে অনেক ভুল করেছি। এরমধ্যে সবচয়ে বড় ভুল হলো কম বয়সে বিয়ে করে। মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করি ববিকে। এত কম বয়সে বিয়ে করলেও সুখ পাইনি। কিন্তু আমি সেই ভুলগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞ। এত কম বয়সে আমার উপর এত ঝড় বয়ে গিয়েছে সেই জন্য কিন্তু ভগবানকে আমি প্রতি মুহূর্তে ধন্যবাদ জানাই। সুনিধির দাবি, জীবনে ভুল করেছেন বলেই তিনি বর্তমানে সফল হতে পেরেছেন।

গায়িকা বলেন, আমি যখন জীবনের অন্ধকার অধ্যায় কাটাচ্ছিলাম তখন সে বিষয়ে অবগত ছিলাম। আমি জানতাম যে আমি ভুল জায়গায় রয়েছি। কিন্তু তার পাশাপাশি এ-ও জানতাম যে এমন অবস্থায় বেশি দিন থাকব না আমি। ঠিক বেরিয়ে আসব। সেই ভরসাটা ছিল। ববির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সঙ্গীত নির্মাতা হিতেশ সোনিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সুনিধি।

হিতেশের সঙ্গে বহু বছর ধরেই বন্ধুত্ব ছিল সুনিধির। সেই বন্ধুত্বই প্রেমে পরিণত হয়। দু’বছরের বেশি সময় ধরে সম্পর্কে থাকার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন হিতেশ এবং সুনিধি। ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল গোয়ায় সাতপাকে বাঁধা পড়েন দু’জনে।

কেরিয়ার বিষয়ে সুনিধি বলেন, পরিচালক থেকে একাধিক সঙ্গীত পরিচালক শুধুমাত্র ‘আইটেম গান’-এর যোগ্যই মনে করেছে তাঁকে। রোম্যান্টিক গানে তাঁর গলা মানায় না, সুনিধি মানেই ‘আইটেম সং’, এই ইমেজ ভাঙতে একমাত্র ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পী অনু মালিককেই পাশে পেয়েছেন গায়িকা।

সুনিধি বলেন, একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে সুনিধি কোন কোন জঁরে গান গাইতে অভ্যস্ত ভালোমতোই জানতেন অনুমালিক। আইটেম গানের পাশাপাশি সফট-রোম্যান্টিক গান গাইতেও পারেন সুনিধি, তা চিনে ছিলেন অনু।

সুনিধি বলেন,‘অনুজি বলেছিলেন সুনিধি মেরি জিন্দেগি মে (আজনবি, ২০০১) গাইবে। ওটা অন্য এক বড়ো গায়িকার গাওয়ার কথা ছিল। ওই গানটা সফল হয়, তারপর আমি রোম্যান্টিক গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম, অনেক সময় একটা মানুষের দরকার হয় এই পরিবর্তনটার জন্য’। কেরিয়ারে এত লম্বা সফর পার করার পড়েও সুনিধির কণ্ঠ পুরুষালি বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা হয়ত জানেন না আমার কণ্ঠকে আর কীভাবে বর্ণনা করবেন, তাই ওটা বলেন। অনেকের কণ্ঠ সরু হয়, কারুর মোটা হয়। আর তার মাঝের কণ্ঠস্বরের অধিকারী যে-সব মেয়েরা হয়, তাদের গলা পুরুষালি। আসলে এটা ভগবানের আর্শীবাদ। আমার গলাকে পুরুষালি বললে সেটা আমার কাছে প্রশংসা। খবর: আনন্দবাজার পত্রিকা ও হিন্দুস্তান টাইমস।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে