বিনোদন ডেস্ক: শাকিব খানের অসহযোগিতার কারণে আটকে আছে তার অভিনীত একাধিক ছবি। শিডিউল না দেওয়ায় কোনো ছবি শুরুতেই থমকে গেছে আবার কোনোটা শেষাংশে এসে আটকে গেছে। এতে মোটা অঙ্কের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে প্রযোজকদের।
শাকিব অভিনীত এমন এক আটকে থাকা ছবি ‘মাই ডার্লিং’। ২০১৪ সালে শাকিব-অপুকে নিয়ে ছবিটির কাজ শুরু করেন পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর। ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করে আনেন তিনি। তারপরও ২০১৫ সালে এসে আটকে যায় ছবিটি। এতে ক্ষুব্ধ ছবিটির প্রযোজক মনিরুজ্জামান। অনেক চেষ্টা করেও ছবিটির কূল কিনারা করতে ব্যর্থ মনিরুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শাকিবের নামে মামলা করবেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমি ২০১৮ সালে যখন সমিতিগুলোর কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম, তখনই বলেছিলাম সমিতি মীমাংসা করে না দিলে বিষয়টি নিয়ে শাকিবের বিরুদ্ধে আদালতে যাব। কিন্তু ওই সময় অপু বিশ্বাস শিডিউল দিলেও শাকিব দেননি। সে সময় শাকিব খান নায়িকা পরিবর্তন করে অন্য নায়িকা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। এমনকি বুবলীকেও নেওয়ার কথা বলেছিলেন। যদি তা না হয়, নায়ক-নায়িকার আলাদা আলাদা শট নিয়ে শুটিং শেষ করতে বলেছিলেন শাকিব খান। কিন্তু ছবিটির শুটিং আগে যতটুকু, যেভাবে হয়েছিল, নায়িকা পরিবর্তন করা বা আলাদা করে শট নেওয়া সম্ভব ছিল না। নায়িকা পরিবর্তন করলে সব ফুটেজ ফেলে দিয়ে নতুন করে পুরো শুটিংই করতে হতো। এতে দ্বিগুণ টাকা খরচ হতো। এতে রাজি না হওয়ায় শাকিবের আর শিডিউল পাওয়া যায়নি। ফলে আর কাজটি হয়নি।’
মামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভুল হয়েছে ২০১৮ সালেই মামলাটা করা উচিত ছিল। আদালতে গেলে আমি ন্যায়বিচার পেতাম। কারণ, আমি সঠিক পথে ছিলাম, এখনো আছি।’
১০ বছর ধরে কোটি টাকা আটকে আছে উল্লেখ করে মনিরুজ্জামান আরও বলেন, ‘একবার ভেবেছিলাম যে ফুটেজ আছে, জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে ছবিটি মুক্তি দেব। কিছু টাকা লোকসান কমবে। কিন্তু ছবিটি এমনভাবে শুটিং করা, কোনোভাবেই সেটা সম্ভব হয়নি। আমার কষ্টের কোটি টাকা জলে যাচ্ছে। সামনে সপ্তাহে চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে যাওয়ার কথা আছে। ফিরে একটা ব্যবস্থা নিতে হবে। আমার কাছে লিখিত সব ডকুমেন্টস আছে। মামলা করব। আর বাড়তি দেওয়া পাঁচ লাখ টাকাও আমাকে ফেরত দিতে হবে শাকিবকে।’