বিনোদন ডেস্ক: ২৪ বছর পূর্ণ হলো বলিউডের আইকনিক ফ্যামিলি ড্রামা চলচ্চিত্র ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-এর। তারকাখচিত সিনেমাটিতে সালমান খান, সাইফ আলী খান, টাবু, কারিশমা কাপুর, মোহনীশ বাহল, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলম কোঠারির মতো তারকা ছিলেন।
তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ রোলে অভিনয় করার কথা ছিল সেই সময়ের সুপারস্টার নায়িকা মাধুরী দীক্ষিতের। তবে শুধু সালমান খানের কারণেই সেই রোল ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি!
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে, মাধুরী পরিচালক বারজাতিয়ার প্রিয় একজন ছিলেন। রেডক্লিফের সাথে একটি পূর্ববর্তী সাক্ষাৎকারে মাধুরী প্রকাশ করেছিলেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা যখন চলচ্চিত্রের জন্য কাস্টিং করছিলেন, তখন তিনি তাকে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু কোন ভূমিকাটি তার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হবে তা নিশ্চিত ছিলেন না পরিচালক। মাধুরী জানান, তিনি বরজাতিয়ার কোনো সিনেমা ফিরিয়ে দিতে পারেননি, তাই তিনি তার সাথে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ চলচ্চিত্রে নিজের সম্ভাব্য ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। তবে সেই সিনেমায় তার চরিত্র হতে হবে অন্য নায়িকাদের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ তিনি তত দিনে অন্যদের চেয়েও অনেক বেশি বড় তারকা। অভিনেত্রী পরিচালককে আরো ব্যাখ্যা করেছিলেন, তিনি ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’-এর পরে কারিশমা কাপুর ও সোনালি বেন্দ্রের চরিত্রে অভিনয় করতে পারবেন না।
শেষ পর্যন্ত পরিচালক তাকে জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূর ভূমিকায় অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যাতে পরবর্তী সময়ে টাবু অভিনয় করেছিলেন। তবে মাধুরী কেন সেই চরিত্র করলেন না? মূলত মাধুরী একটি নির্দিষ্ট দৃশ্যের কারণে সেই চরিত্রটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
মাধুরী জানান, সালমানের সঙ্গে পর্দায় ভাবি-দেবরের সম্পর্ক তৈরি করা কঠিন হতো তার জন্য। যার সঙ্গে তিনি ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’-এ রোম্যান্স করেছিলেন। অভিনেত্রী বলেন, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায় চলচ্চিত্রে একটি দৃশ্য রয়েছে যেখানে সালমান টাবুর পা স্পর্শ করেন এবং শ্রদ্ধায় টাবুকে জড়িয়ে ধরেন।
দৃশ্যে দুজনের মধ্যে এই ভাবি-দেবর অনুভূতি থাকতে হবে। কিন্তু আপনি যদি আমাকে টাবুর জায়গায় রাখেন এবং সালমানকে আমার পা ছুঁয়ে দেখার দৃশ্য দেখেন, আমার মনে হয় মানুষ প্রেক্ষাগৃহে হৈচৈ করত। তাই সিনেমাটি থেকে সরে দাঁড়ানো।’
১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় সুরাজ বরজাতিয়ার চলচ্চিত্র ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’। সে বছর সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্র হিসেবে বক্স অফিস মাতিয়েছিল এটি। পারিবারিক ড্রামা হিসেবে আজও দর্শক হৃদয়ে চিরসবুজ এই সিনেমা। সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস