বিনোদন ডেস্ক: একাধিক বিতর্কিত ঘটনায় আলোচিত সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল ফারজান আরশি নামের এক তরুণীকে বিয়ের দাবি করেছেন। যে কি না আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন।
এ ঘটনায় ওই তরুণীর স্বামী নাদিম আহমেদ এক ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন, তার স্ত্রীর প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। তবুও চেষ্টা করেছেন স্ত্রীকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনার।
নাদিম একজন ফুড ব্লগার। খুলনাতেই বেড়ে ওঠা তার। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর দুই বছর আগে ফারজান আরশিকে বিয়ে করেছিলেন। গত আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্তও স্ত্রীকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল।
কিন্তু হঠাৎ করেই নাদিম তার স্ত্রীকে গায়ক নোবেলের সঙ্গে আবিষ্কার করেন। বিষয়টি ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন এই যুবক নিজেই। এসময় অনবরত কাঁদতে দেখা যায় তাকে।
নাদিম ভিডিওর শুরুতে বলেন, ‘এত বছর সে আমার সাথে, আমি কখনো কল্পনাও করি নাই আমার স্ত্রী এমন কিছু করবে। আমি কিছুই জানতাম না। আমার স্ত্রী আমাকে নিয়ে পোস্ট দিচ্ছে, স্টোরি দিচ্ছে, সবকিছুই ভালোই যাচ্ছিল।
সুতরাং এমন কিছু ঘটছে সেই সন্দেহ করারও সুযোগ ছিল না। হঠাৎ করেই একদিন দেখলাম গায়ক নোবেল একটা প্রোফাইল পিকচার দিয়েছে। যেখানে তার সঙ্গে আমার স্ত্রী। আমি কোনোভাবেই এটা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। মেনে নিতে পারছিলাম না।’
নাদিম আরও বলেন, ‘এরপর হঠাৎ করেই দেখি নোবেলের আইডিতে আরশিকে বিয়ের দাবি করা একটি পোস্ট। এটা আমার জন্য মেনে নেওয়ার মতো ছিল না। আমি নোবেলের বাড়িতে পুলিশ নিয়ে যাই।
এসময় আরশির বাবা-ভাই আমার সাথে উপস্থিত ছিল। সেখানে গিয়ে দেখি তারা দু’জনেই নেশায় আসক্ত হয়ে আছেন। তবুও চেষ্টা করেছি আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার। কিন্তু পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে আরশি জানান, সে আমার কাছে ফিরতে চান না।’
কান্নারত অবস্থায় নাদিম বলেন, ‘সবাই জানেন আমি সবসময় আরশিকে উপরে ওঠানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু আজকে আমি হেরে গেছি। যার যায় শুধু সে-ই বোঝে।
আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত আনার জন্য শেষ চেষ্টাও করেছি। হয়তো অন্য কোনো ছেলে থাকলে সেটাও করতো না। কিন্তু আমি করেছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন এই সবকিছু দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারি।’
এর আগে গত সোমবার আরশির সঙ্গে ফেসবুকে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে নোবেল দাবি করেন, তাকে বিয়ে করেছেন তিনি। যদিও কবে বিয়ে করেছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর নোবেলের সঙ্গে বিয়ে হয় মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদের। একই বছরে ভারতের জি বাংলার সংগীত রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’ অংশ নিয়ে আলোচনা আসেন এই গায়ক।
বিয়ের কয়েক বছর পরেই নোবেলকে ডিভোর্স দেন সালসাবিল। সেসময় এই গায়কের স্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘নোবেল মানসিকভাবে অসুস্থ, মাদকাসক্ত, আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করত। এসব কারণে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওর সঙ্গে সংসার করা সম্ভব না।’