শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১১:২৫:৩৪

রাজনীতি থেকে যে ইনকাম হবে, সেগুলো জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেব: মাহি

রাজনীতি থেকে যে ইনকাম হবে, সেগুলো জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেব: মাহি

বিনোদন ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া (মাহিয়া মাহি)। নির্বাচনে প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ পেয়েছেন ট্রাক। এই প্রতীকে ইতোমধ্যে নির্বাচনি প্রচার শুরু করেছেন এ নায়িকা।

তবে অভিনয় না রাজনীতি— নির্বাচিত হলে কোনটা থাকবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মাহি বলেন, অভিনয়টা আমার গ্রোথ। এ অভিনয়ের কারণে আপনারা আমার ইন্টারভিউ নিচ্ছেন। 

এখানে কিন্তু অনেক প্রার্থী ছিলেন, আপনারা সবার ইন্টারভিউ তেমনভাবে নেননি, আমার সঙ্গে কথা বলছেন। সেই পরিচিতির জায়গাটা আমাকে যে ইন্ডাস্ট্রি দিয়েছে, তারা ছাড়া আমার কোনো অস্তিত্ব নেই। তাদের বাদ দিয়ে অন্যকিছু আমার দ্বারা সম্ভব নয়; কিন্তু অভিনয়টা অভিনয়ের জায়গায় থাকবে, আমি মানুষের সেবা করব। 

তিনি বলেন, রাজনীতির মূলনীতি মানুষের সেবা করা। মানুষের সেবাটা করব, আর অভিনয়টা চালিয়ে যাব। আমি তো ইনকাম করব আমার অভিনয় থেকে। রাজনীতি থেকে যে ইনকাম হবে, সেগুলো জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেব।

বুধবার (রাজশাহী সার্কিট হাউসে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় অংশ নেন মাহি। সভাশেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। 

ট্রাকের প্রচার প্রসঙ্গে মাহি বলেন, আমার এখন প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে যাওয়া দরকার। তাদের বলা উচিত, আপনারা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসুন। নারীদের বলছি আপনারা প্লিজ শাড়ি-টাড়ি পরে সেজেগুজে চলে আসবেন। 

ওই দিন একটা উৎসবের দিন। ভোট তো একটা অধিকার, সেটা কিন্তু আনন্দেরও দিন। আপনারা ওই উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। আমি ছোট একটা ট্রাক নিয়ে ঘুরছি। অতো সুন্দর ট্রাক পাইনি। 

এখানে যেটা পেয়েছি, সেটা নিয়ে সবার কাছে যাচ্ছি। অনেক পিচ্চি আবার বলছে, এই ট্রাকটা আমাদের দিয়ে যান। সেটা আবার দিয়ে আসতে হচ্ছে। 

আমার প্রতিপক্ষ যারা আছে, ফেসবুকে দেখি- তারা ট্রাক নিয়ে আমাকে অনেক পচাচ্ছে যে, ট্রাকের চাকা পাঙচার হয়ে যাবে তখন বুঝবে। তো এইরকম করে আসলে ভালোই লাগছে। ট্রাকটা যে আমার প্রতীক, তারাই মানুষকে আরও পৌঁছে দিচ্ছে।

নির্বাচিত হলে সব শ্রেণির মানুষকে সম্মান দিতে চান মাহি। সে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার এলাকার ভোটাররা খুবই সাধারণ। তারা আসলে চায়, গায়ে হাত দিয়ে কেউ কথা বলুক। 

সেটুকুর জন্য আসলে তারা পরিবর্তন চায়। এই ভালোবাসাটুকু তারা চায়। তারা বিগত দিনে এই ভালোবাসাটুকু পায়নি। শিক্ষকরা আছেন, এই শিক্ষকগোষ্ঠী আসলে চায় পরিবর্তন। তারা সম্মান চান। শিক্ষকদের আমরা ‘স্যার’ বলে ডাকব। 

আমরা যদি তাদের তুই-তুকারি করি, তাদের কান ধরে ওঠবস করাই তা হলে তো সমস্যা। আরেকটা হচ্ছে, নারীরা সম্মান চান। আসলে তানোর গোদাগাড়ীবাসী সম্মানের সঙ্গে থাকতে চান। তারা নিজের খাবে, নিজের পরবে, আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচবে। কাউকে ভয় পাবে না তারা এবং তারা চায়, মাসে একবার হলেও তাদের জনপ্রতিনিধি তাদের কাছে আসুক। সমস্যাগুলো শুনুক।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে