বিনোদন ডেস্ক : আজ থেকে নয় বছর আগে ঘটনা। মডেল ও অভিনেতা নিরব হোসেন হুট করেই বিয়ের খবর জানান। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঘরোয়াভাবে বিয়ে করেন তিনি। পাত্রী ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী কাসফিয়া তাহের চৌধুরীকে, যাঁর ডাক নাম ঋদ্ধি।
তবে এই বিয়ে মেনে নেননি তার শ্বশুর। কারণ ১০ মাসের প্রেম শেষে একরকম পালিয়েই বিয়ে করেন দুজন। পালিয়ে বিয়ে করার কারণে নিরবের শ্বশুর তার নামে অপহরণ মামলা ঠুকে দেন। বাধ্য হয়ে টানা ১৫ দিন পালিয়ে থাকতে হয় এই নব্য দম্পত্তিকে।
১৫ দিন পর হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে তবেই প্রক্যাশে আসেন এই অভিনেতা।
আজ এতদিন পর এতকিছু সামনে আসার কারণ বিয়েবার্ষিকী। গেল ২৬ ডিসেম্বর ছিলো নিরব ও ঋদ্ধির বিয়ের নয় বছর পূর্তি। বিয়ের ১০ বছরে পা রেখেছেন তারা।
বিয়ে নিয়ে যখন নিরবের সাথে কথা হয় তখন তিনি পাশের দেশ ভারতে। আসামে একটি শো করতে গেছেন। সেখানে বসে শোয়ের আগে স্মৃতিচারণ করলেন বিয়ের। বললেন,‘বিয়ের পর একটু ভয় তো ছিলই। বিয়ে করে মামলা খেলাম।
কি জানি কি হয়! কিন্তু ওই সময় ঋদ্ধি পাশে ছিলো। সাহজ জুগিয়েছে। তখন ওই সাহসটাই আমার জন্য বড় পাওয়া।’
এক ছাদের নিচে দুজন আছেন নয় বছর ধরে। এরইমধ্যে দুজনের ঘর আলো করে এসেছে দুই সন্তান। দুই সন্তানকে নিয়ে দারুণ সংসার তাদের। মাঝেমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পারিবারিক ছবি শেয়ার করেন নিরব।
সেখানে তার বেশিরভাগ ভক্ত ইতিবাচক মন্তব্য করেন। সেসব আপ্লুত করে দুজনকে। তাই বলে কি দুজনের ঝগড়া হয় না?
নিরব বলেন, ‘ঝগড়া হয়। তবে সেটা আমরা বেশিদূর গড়াতে দিই না। একটা মজার ঘটনা বলি, একবার আমাদের ঝগড়া হয়েছে। দুজন দুদিকে বসে আছি। আমার বড় মেয়ে তখন আমার কাছে এসে বলে, বাবা এখন কি তোমাদের ব্রেকআপ হয়ে যাবে? এটা শোনার পর কি আর ঝগড়া চালু রাখা যায়?’
তবে কথা প্রসঙ্গে নয় বছর ধরে সংসার টিকিয়ে রাখার রহস্য ফাঁস করলেন নিরব। বললেন, ‘আমরা আসলে কখনো টিকিয়ে রাখার চেষ্টাই করি নাই। তাই সংসার টিকে গেছে। আমরা ভালো আছি। তবে সংসারে বা জীবন যাপনে নানা ধরণের টানাপোড়েন আছে। সেসব সামলে আনন্দে থাকাটাই জরুরী।’