বিনোদন ডেস্ক : তিনটে নয়, ৪টে বিয়ে করেছেন প্রসেনজিৎ। খোদ ‘বুম্বাদা’র সামনেই এ কী বলে বসলেন দেব! বলে ফেলেই অপ্রস্তুত। তবে নাহ, প্রসেনজিৎ কিন্তু বিন্দুমাত্র রাগ করলেন না। একটু থেমে কর গুনে প্রসেনজিৎ জানালেন, আরে ধ্যাৎ চারটে কোথায়! আমার তো তিনটে বিয়ে।
দেব তখন উচ্ছ্বসিত, আরে এটাই তো বলতে হবে। নাহ, কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়, বাস্তবেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে এমনটা বলেছেন সাংসদ, অভিনেতা দেব। ভাবছেন তো কেন হঠাৎ উঠল এমন প্রসঙ্গ!
ছবির প্রচার সেরে ঘরে বসে চুপচাপ বসে মোবাইল ঘাঁটছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। হঠাৎ অতি উৎসাহ নিয়ে দরজা ঠেলে ‘দাদা দাদা’ করতে করতে ঘরে ঢুকে পড়লেন দেব। বললেন, ‘একটা আইডিয়া পেয়েছি।’
বিস্মিত প্রসেনজিতের প্রশ্ন আবার আইডিয়া! দেব বললেন, ‘হ্যাঁ, কমেডি করতে হবে’। অবাক হয়ে ‘বুম্বাদা’ বললেন, ছবি তো শেষ, ট্রেলার বেরিয়ে গেছে। দেব তাঁকে জানান, প্রচারের জন্য কমেডি করতে হবে। তাও আবার স্ট্যান্ডআপ কমেডি।
প্রসেনজিৎ সরাসরি না বলে জানান, স্ট্যান্ডআপ জানি না, সারাক্ষণ কানধরে সিটআপ করেছি, ওই কমেডিই করতে পারব। আর তারপরেই দেবের খোলসা করে বলেন, আসলে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলে লোক হাসাতে হবে।
একথায় বিস্মিত প্রসেনজিতের প্রশ্ন, ‘আমার ব্যক্তিগত জীবনে কী আছে, যেটা জেনে লোক হাসবে!’ আর ঠিক এরপরই দেব বলেন ‘এই যে ৪ টি বিয়ে’। এরপরেই একটু ভেবে, কর গুনে প্রসেনজিৎ বলেন ‘নাহ তিনটে’।
রবিবার এমনই একটি ভিডিয়ো ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন দেব নিজে। ক্যাপশানে লিখেছেন, ‘আপনারা তৈরি তো? কারণ, আমরা ভাবছি উনি হলেন…।’ সঙ্গে একটি মজা করার স্মাইলি পোস্ট করেছেন।
প্রসঙ্গত, পথিকৃৎ বসুর পরিচালনায় ‘কাছের মানুষ’ ছবিতে একসঙ্গে দেখা যাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দেবকে। আপাতত সেই ছবিরই প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা। যেখানে জীবন বিমা কোম্পানির এজেন্ট ‘সুদর্শন’-র ভূমিকায় দেখা যাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। আর কুন্তলের ভূমিকায় দেখা যাবে দেবকে। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ছবির ট্রেলার। ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে, কুন্তল (দেব) কাছের মানুষ তাঁর মা (তুলিকা বসু) তাঁরই ভুলে শয্যাশায়ী।
যেকারণে আত্মগ্লানি আর মনোকষ্টে ভুগছেন ‘কুন্তল’ দেব। অসুস্থ মা-কে জড়িয়ে ধরে দেবকে বলতে শোনা যায়, ‘নিজে দোষ করলে নিজেকে শাস্তি দেওয়া যায়। কিন্তু ধরুন, কাছের মানুষ আপনার উপর অভিমান করে নিজেকে শাস্তি দিয়েছে তাহলে কি নিজেকে ক্ষমা করা যায়?’ আর এরপরেই কুন্তলের জীবনে ধূমকেতুর মতো এসে হাজির হন জীবনবীমা কোম্পানিক এজেন্ট ‘সুদর্শন’ (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়)।
কুন্তলের মৃত্যুর সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে তাঁর ফায়দা। সেই এজেন্টই তাঁকে এটা বিশ্বাস করায়, ‘গাড়ি গড়াতে যেমন চাকা লাগে, কলিযুগে বাঁচতে গেলে তেমন টাকা লাগে’। এখানেই শেষ নয়, এজেন্ট সুদর্শন তাঁকে বোঝায়, কুন্তলের মৃত্যুই একমাত্র তাঁর মায়ের জীবন মসৃণ করতে পারে। তাই তাঁকে মরতেই হবে। কিন্তু কীভাবে মরবেন কুন্তল? তারও নানান উপায় বাতলে দেন ওই এজেন্ট।
তবে নাহ, শেষ অবধি তার কোনওটাই কাজ করে না। কুন্তলের জীবনে হঠাৎ এসে হাজির নতুন প্রেম ইশা সাহা। যে তাঁকে বোঝায়, ‘শুধু টাকা থাকলেই ভালো থাকা যায় না, কাছের মানুষগুলোকেও লাগে।’ এরপরই ধীরে ধীরে বদলে যায় কুন্তলের জীবন।
কিন্তু কী হবে জীবন বিমা কোম্পানির এজেন্ট ‘সুদর্শন’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের? সে কি সত্যিই কুন্তলের মৃত্যু চায়? নাকি এই ষড়যন্ত্রের পিছনে মুখোশের আড়ালে রয়েছে কোনও ‘কাছের মানুষ’? এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর।