বিনোদন ডেস্ক : আলিয়া ফার্নিচারওয়ালার বিনোদন জগতের সঙ্গে ছোট থেকেই বিশেষ যোগ রয়েছে। তার বাবা শিল্পপতি ফারহান ইব্রাহিম ফার্নিচারওয়ালা ও অভিনেত্রী পূজা বেদির কন্যা তিনি। আলিয়ার নানা হলেন কবীর বেদি।
আলিয়া ইনস্টাগ্রামে প্রতিদিনই নিজের সমস্ত আপডেট শেয়ার করেন। এবার বিপদের কথা শোনালেন তিনি। নায়িকার প্যান্টে লুকিয়ে ছিল মাকড়সা। আর সেই মাকড়সায় কামড়ে কী হাল! তার ছবি শেয়ার করলেন তিনি নিজেই। মাকড়সার কামড় খেয়েও ৭৫ দিনের কড়া ডায়েটে তিনি।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেছেন, ‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ এটি (মাকড়সার কামড়ের ক্ষত) এখন প্রায় সেরে গিয়েছে। একটা গানের শুটিংয়ের জন্য রওনা দিতে হবে। ওই ক্ষত নিয়ে নাচতে পারব কিনা সেটা ভেবেই একটু চাপে ছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুবই বেদনাদায়ক ছিল। ব্যথাটা দিন দিন বাড়ছিল। এতটাই খারাপ অবস্থা ছিল যে আমার পায়ের লিম্ফ নোড এবং ওপরের অংশটি খুবই ব্যথা করতে শুরু করে। তার মানে সংক্রমণটা আমার পায়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। আমাকে খুব ভারি অ্যান্টিবায়োটিক নিতে হয়েছিল। ফুলে উঠেছিল জায়গাটা। মুখটা ফেটে গেলেই আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠি। শুধু সামান্য একটা চিহ্ন রয়েছে, সেটাও আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাবে।’
এ চ্যালেঞ্জিং পর্ব সত্ত্বেও আলিয়া বর্তমানে ৭৫ দিনের কঠিন চ্যালেঞ্জ চালু করেছেন। নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অভিনেত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি বর্তমানে ৭৫ দিনের কঠিন চ্যালেঞ্জ শুরু করেছি। সত্যিই খুব ভালো লাগছে। শুরুতে খুব মসৃণভাবে চলছিল কিন্তু তারপর আমি আমার গানের শুটিংয়ের জন্য প্রচুর রিহার্সাল শুরু করি; তখন এটা সত্যি আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আমি রিহার্সালটা আমার শারীরিক কার্যকলাপ হিসেবে গণনা করিনি।’
তিনি বলেন, ‘একদিনে ৭ ঘণ্টা শারীরিক ক্রিয়াকলাপ চালিয়ে যাই। প্রায় ৫ ঘণ্টা রিহার্সাল এবং ২ ঘণ্টা ওয়ার্কআউট করেছি ৭৫ দিনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে। তার ওপর অন্য সব কাজও করতে হবে, তাই আমার দিনগুলো এখন অতিরিক্ত পরিপূর্ণ লাগছে, কিন্তু এটা খুবই ফলপ্রসূ।’
আলিয়া জানান, এটা করে খুব রিফ্রেশ অনুভব করছেন তিনি। ১ জানুয়ারি দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এ চ্যালেঞ্জ শুরু করেছেন অভিনেত্রী।
যারা চ্যালেঞ্জ নিতে চান তাদের সবাইকে অভিনেত্রী বলেন, ‘যতক্ষণ আপনি একটি সুস্থ ডায়েট ফলো করেন, তখনই কাজে লাগবে। আমি পরিশোধিত চিনি এবং ভাজা খাবার এড়িয়ে যাচ্ছি, অন্যথায় আমি শুধুমাত্র ভালো খাবার খাই। আমরা সবাই জানি কখন আমরা ভালো বা খারাপ খাবার খাচ্ছি।
আমি শুধু ভালো খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হচ্ছি, আমার কার্বোহাইড্রেট ছাড়া খাবার খেতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কারণ আমি খুব বেশি ওজনও কমাতে চাই না। আমি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছি এবং কিভাবে করা যায় সেই চেষ্টাই করছি। ৭৫ দিনের মধ্যে সব থেকে কঠিন হলো পরিশোধিত চিনি এবং ভাজা খাবার থেকে দূরে থাকা।’