বিনোদন ডেস্ক : এ মুহূর্তে বলিউড দাপিয়ে বেড়ানো অভিনেত্রীদের যদি একটা তালিকা করা হয়, কোনো সন্দেহ ছাড়াই শীর্ষে থাকবেন আলিয়া ভাট। বেশ স্বাস্থ্যসচেতন তিনি।
তবে প্রিয় খাবারের সংখ্যা নেহাৎ কম নয়। ইনস্টাগ্রামের এক প্রশ্নোত্তরে জানিয়েছেন নিজের প্রিয় খাবারের কথা। সে এক লম্বা ফর্দ তুলে ধরেছিলেন বটে! চলুন জেনে নেওয়া যাক—ভাটকন্যার দুটি প্রিয় খাবার আর কীভাবে রাঁধতে হয় মজার মজার সেসব পদ। মনমতো হলে আপনিও তৈরি করতে পারেন আপনার বাড়িতে।
দই পছন্দ করেন আলিয়া। তবে শুধু দই একেবারেই খান না তিনি। তাঁর পছন্দ হলো ‘দই তরকা’ ও তরকা দেওয়া ‘কার্ড রাইস’। সঙ্গে যদি ভাত না-ও থাকে, শুধু ‘দই তরকা’ই ‘সাইড ডিশ’ হিসেবে খেয়ে নেন তিনি!
দই তো সবারই চেনা। তবে ‘দই তরকা’ কজন খেয়েছেন? চটজলদি দেখে নেওয়া যাক—কীভাবে তৈরি হয় দই তরকা দিয়ে ‘দাহি চাওয়াল’ বা ‘কার্ড রাইস’:
উপকরণ: ফ্রেশ টকদই, তেল ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচের কুচি ২টি, কারিপাতা ৮-১০টি, তুর ডাল ১ টেবিল চামচ, ছোলার ডাল ১ টেবিল চামচ, শর্ষের দানা ১ টেবিল চামচ, গোটা শুকনা মরিচ ২টি
যেভাবে বানাবেন
একটি ছোট প্যানে তেল নিয়ে নিন। তেল পর্যাপ্ত গরম হয়ে গেলে শর্ষের দানা দিন। শর্ষে ফুটতে শুরু করলে কাঁচা মরিচ, তুর ও ছোলার ডাল দিন। আপনি চাইলে ডাল–বাদও রাখতে পারেন। তবে ডাল দেওয়াতে খাবারে একটা মচমচে স্বাদ পাওয়া যাবে। ডালে বাদামি রং ধরে এলে শুকনা মরিচ আর কারি পাতা দিয়ে দিন। এরপর একটু ভেজে দইয়ের ওপর ঢেলে দিন। দই আপনি যে পরিমাণ ভাত নেবেন, সে অনুযায়ী নিন। সবশেষে ভালো করে মিলিয়ে নিন। ‘কার্ড রাইস’ একটি জনপ্রিয় দক্ষিণি খাবার। এর সবচাইতে বড় গুণ পেট পরিষ্কার রেখে হজমে সহায়তা করা। এ ছাড়া ব্রণ দূর করে ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। লবণের পরিমাণ কম থাকায় উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্যও যথাযথ খাবার এটি।
আলিয়ার প্রিয় পোহা ও ছাস
মহারাষ্ট্রের জনপ্রিয় খাবার ‘পোহা’। বাংলাতে আমরা যাকে ‘চিড়ার পোলাও’ বলে ডাকি, তারই একটি ধরন এটা। কম ক্যালরির খাবার পোহায় বেশ মজেছেন আলিয়া। তাঁর ইনস্টাগ্রামের আটটি খাবারের তালিকায় প্রথমে ছিল পোহার নাম। শুধু পোহা নয়, সঙ্গে পানীয় হিসাবে ছিল ‘ছাস’। ‘ছাস’ দই দিয়ে বানানো একধরনের তরল পানীয়। সকালটা যদি শুরু করা যায় বাদাম ও মশলা দিয়ে পরিপূর্ণ সুস্বাদু চিড়ার তৈরি ‘পোহা’র মতো স্বাস্থ্যসম্মত, তবে সুস্বাদু এক খাবার দিয়ে তাহলে আর কী চাই! গতানুগতিক নাস্তার বাইরে নতুন কিছু চেষ্টা করতে ক্ষতি নেই।
উপকরণ: চিড়া ২ কাপ, পেঁয়াজ ২টি, টমেটো ১টি ( মাঝারি), কাঁচা মরিচ ৫টি, কাঁচা বাদাম আধা কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, লবণ (পরিমাণমতো), কারিপাতা একমুঠ, লাল মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ধনের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চামচ, গোলমরিচ (পরিমাণমতো), জিরা (গোটা ও গুঁড়া), লেবুর রস (পরিমাণমতো)
যেভাবে তৈরি করবেন
শুরুতেই চিড়া ধুয়ে ৫-১০ মিনিট পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। ততক্ষণে সবজিগুলো ধুয়ে কেটে নিতে পারেন। পাঁচ মিনিট হয়ে গেলে পোহা থেকে পানি ঝড়িয়ে পাশে রেখে দিন। এরপর একটি কড়াইতে ঘি নিয়ে মাঝারি আঁচে বাদামগুলো ভেজে ফেলুন। ভাজা হয়ে গেলে বাদাম তুলে রেখে একই কড়াইয়ে গোটা জিরা, আদা রসুনকুচি দিয়ে এক মিনিট ভেজে নিন। কারিপাতা দিয়ে দিন। চাইলে আপনি গোটা শর্ষেও যোগ করতে পারেন। এরপর কুচি করে রাখা পেঁয়াজগুলো দিয়ে ভালোভাবে ভাজুন। কেটে রাখা সবজিগুলো দিয়ে দিন। গোলমরিচের গুঁড়া, ধনের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, জিরার গুঁড়া দিয়ে সবজিগুলো ভালো করে নেড়েচেড়ে দিন। পানি দিয়ে সবজিগুলো রান্না হতে দিন। সবজি সেদ্ধ হয়ে এলে ভেজানো পোহা কড়াইতে দিয়ে দিন। ভেজে রাখা বাদাম দিতে ভুলবেন না। পরিমাণমতো লবণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর অল্প পানি দিয়ে এক মিনিট ঢেকে রান্না হতে দিন। সবশেষে লেবুর রস দিয়ে দিন। চাইলে ওপর থেকে খানিকটা ‘চুড়মুড়’ ছড়িয়ে দিতে পারেন। পরিবেশন করুন দই দিয়ে বানানো ঠান্ডা ‘ছাস’–এর সঙ্গে।