বিনোদন ডেস্ক : একজন ব্যবহারকারী এক্সে লিখেছেন, ‘খান সাহেব আমার একটি কিডনি বিক্রি করলেও যথেষ্ট হবে না, আমাকে আমার দুটো কিডনিই বিক্রি করতে হবে।’
গেল বছর পোশাক ব্যবসায় নেমেছিলেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। ‘ডিয়াভল’ নামের পোশাক ব্র্যান্ডটির মুখ শাহরুখ নিজেই। সম্প্রতি ব্র্যান্ডটির প্রচারে শাহরুখের শার্টলেস একটি ছবি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা চলে।
৫৮ বছর বয়সেও ‘রীতিমতো আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন শাহরুখ’ এমনটাই মন্তব্য করেন ভক্তরা। তবে ব্র্যান্ডটির পোশাকের দাম দেখে মাথায় হাত। আরিয়ান খান তার ব্র্যান্ডের একেকটি জ্যাকেটের দাম রেখেছেন দেড় থেকে ২ লাখ রুপি।
আরিয়ান খানের বিলাসবহুল পোশাক ব্র্যান্ড ‘ডিয়াভল’ এর ওয়েবসাইট লঞ্চ হওয়ার পর অনেকেই এটি অ্যাক্সেস করতে পারেনি। সেসময় এক্সে (টুইটার) একটি তারা জানায়, ‘আমরা খুব বেশি পরিমাণে ট্রাফিক এবং চেকআউটের সম্মুখীন হচ্ছি। অনুগ্রহ করে আমাদের সাথে থাকুন।’
পরে, তারা ঘোষণা করে যে, সাইটটি আবার লাইভ হয়েছে এবং ব্যবহারকারীরা সাইটটি অ্যাক্সেস করতে পারছেন। তবে অনলাইনে অনেকেই ব্যয়বহুল এই পোশাকের দাম দেখে হতবাক হন।
এই ব্র্যান্ডের একটি সাধারণ জ্যাকেটের দাম ২ লাখ রুপি, যা বাংলাদেশি টাকায় ২ লাখ ৬৫ হাজারেরও বেশি। এছাড়া আরও একটি সিগনেচার এক্স জ্যাকেটের দাম ৪ লাখ ১ হাজার ১১০ রুপি অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি। আবার এই জ্যাকেটগুলোও লিমিটেড এডিশন (সীমিত সংখ্যক)।
অন্যদিকে প্রিন্টেড ডিজাইনের একটি টি-শার্টের দাম ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৪০০ রুপি যা বাংলাদেশি টাকায় ৩২ হাজার টাকার কিছু বেশি। শুধু তাই নয় এই ব্র্যান্ডের একটি হুডির দাম ৪৫ হাজার ৫০০ রুপি অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ৬০ হাজার টাকা প্রায়। এই ব্র্যান্ডের পোশাকগুলোর মধ্যে একটি ছিল একেবারেই সাদামাটা একটি সাদা টি-শার্ট।
পোশাকের দাম নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলও করেছেন। একজন ব্যবহারকারী এক্সে লিখেছেন, ‘খান সাহেব আমার একটি কিডনি বিক্রি করলেও যথেষ্ট হবে না, আমাকে আমার দুটো কিডনিই বিক্রি করতে হবে।’
অন্য একজন প্রশ্ন করেন, ‘এই ডিয়াভল এক্স কি কিছু জ্যাকেট ১০০০-২০০০ রুপির মধ্যেও বানাবে? এটা কিনতে গেলে তো বাড়ি বিক্রি করতে হবে।’
এমনই একটি প্রশ্নের জবাবে শাহরুখ খান উত্তর দেন। তিনি বলেন ‘এই ডিয়াভল এক্স’ ওয়ালা আমার কাছেও সস্তায় কিছু বিক্রি করছে না….।’
তবে দাম নিয়ে এত সমালোচনার মধ্যেও পোশাক বিক্রি থেমে নেই। বরং সবগুলো পোশাকের স্টকই একদিনের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। আরিয়ান খান তার ইনস্টাগ্রামে খবরটি শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘সব বিক্রি হয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, গত বছর ৩০ এপিল এই পোশাকের ব্র্যান্ড লঞ্চ করেন আরিয়ান। এটি একটি ‘প্রিমিয়াম স্ট্রিটওয়্যার’ ব্র্যান্ড।