বিনোদন ডেস্ক: গেল মাসে নিজের বিচ্ছেদের খবর দিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে সংসার ভাঙার খবর জানালেও কারণ স্পষ্ট করেননি তিনি।
যদিও এরপর বিভিন্ন সময়ে মাহি বলেছেন, স্বামী রাকিবের প্রতি পরিপূর্ণ সম্মান রয়েছে তার। এমনকি এই নায়িকা বলেছেন, মাথায় পিস্তল ধরলেও রাকিবকে নিয়ে কখনো খারাপ কিছু বলতে পারবেন না তিনি।
অন্যদিকে রাকিবও বলেছেন, স্ত্রী হিসেবে মাহির সম্মান রয়েছে তার কাছে। নিজের স্ত্রীকে কখনো হেয় করে কিছু বলতে পারবেন না তিনি।
দু’জনের এই বক্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে তাদের বিচ্ছেদের কারণ কী? কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটছে এই দম্পতি? বিষয়গুলো নিয়ে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিককে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রাকিব সরকার।
যেখানে তিনি জানিয়েছেন, সংসার টেকানোর জন্য সকল চেষ্টাই করেছেন তিনি। কিন্তু মাহি চাইছেন ডিভোর্স হোক।
রাকিব বলেন, ‘মাহির পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত এসেছে, তা এখন ৯৯ ভাগই বিচ্ছেদের পথে। এক ভাগ নিয়েও আমি আশাবাদী। চেষ্টা করে যাচ্ছি সংসারটা টিকিয়ে রাখতে। কারণ আমি মাহিকে বিয়ে করি পরিবারের অমতে। বিভিন্ন বাধা থাকা সত্ত্বেও তাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি।’
রাকিব সরকার বলেন, ‘মাহিকে বিয়ের পর থেকে তার প্রতিটি কথাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। বিয়ের পর কোনো মেয়ের সঙ্গে কথা বলিনি।
আমি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাজনৈতিক কারণেও কোনো মেয়ের বিষয় আসলেও কথা বলিনি। মাহি অনুমতি দিলে বলেছি। কোনো মেয়ে ফোন করলে, মাহি কাছে থাকলে ফোন ধরেছি, না থাকলে ধরিনি।’
অভিনেত্রীর স্বামী আরও বলেন, ‘গত তিন বছরে আমার মায়ের কাছে মনে হয় তিন দিন যাওয়া হয়েছে। আমার আগের ঘরের (স্ত্রীর) এক ছেলে ও এক মেয়ে।
তাদেরও তো ভবিষ্যৎ আছে। মাহিও তাদের পছন্দ করে। কাছাকাছি রাখতে চেয়েছে। কিন্তু আমি গত তিন বছরে মনে হয় ১০-১৫ দিনও ছেলে-মেয়েকে কাছে পাইনি। ছেলে-মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বললেও লাউড স্পিকারে কথা বলেছি। মাহির প্রতি ভালোবাসা রেখে এর চেয়ে ত্যাগ আর কি করতে পারি আমি?’
সবশেষ রাকিব জানান, সংসার জীবনের একটা পর্যায়ে এসে তাকে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেগুলো সে মানতে পারেননি বলেই এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, প্রথম সংসারে ভাঙনের পর ভালোবেসে ২০২০ সালে গাজীপুরের ব্যবসায়ী রাকিব সরকারকে বিয়ে করেছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তাদের সংসারে রয়েছে একটি পুত্রসন্তান। যার নাম ফারিশ সরকার।