বিনোদন ডেস্ক : ঢালিউডের প্রথম সারির নায়িকা তিনি। কিন্তু সচরাচর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন না। ফলে যখনই সাংবাদিকদের সামনে আসেন, একসঙ্গে অনেক প্রসঙ্গ উঠে আসে আলোচনায়। যেমনটা হলো বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে।
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে হাজির হন বুবলী। উদ্দেশ্য, যমুনা ইলেকট্রনিকস ও অটোমোবাইলসের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত হওয়া। সেটা তো সারলেনই, এরপর সিনেমা ও অন্যান্য প্রসঙ্গেও কথা বলেন এ নায়িকা।
শুরুটা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়া নিয়ে। বুবলী বললেন, ‘আজ আমি অনেক এক্সাইটেড। কারণ দেশের অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছি। এজন্য এই প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। আজ আমার নতুন যাত্রা হলো। এই পথটা সাফল্যের সঙ্গে পাড়ি দিতে চাই।’
এ সময় বুবলীর সঙ্গে চুক্তিস্বাক্ষর করেন যমুনার মার্কেটিং বিভাগের প্রধান সেলিম উল্লাহ সেলিম। তারা জানান, প্রতিষ্ঠানটির হয়ে বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করবেন বুবলী। সেই সঙ্গে তার নতুন ছবিগুলোর প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতায় থাকবে এই কোম্পানি।
এবার একান্ত বুবলী প্রসঙ্গ। ঘনিয়ে আসছে ঈদুল ফিতর। শোনা যাচ্ছে, এই ঈদে তার অভিনীত ‘দেয়ালের দেশ’ ও ‘মায়া’ নামের দুটি ছবি মুক্তি পাবে। বিষয়টি নিয়ে নায়িকার বার্তা এরকম, “দেয়ালের দেশ’ নিয়ে আমি কনফার্ম। এটা ঈদেই আসবে।
এই ছবিতে আমাকে যেভাবে দেখা যাবে, সেভাবে এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। এটা আমি শতভাগ নিশ্চয়তা দিলাম। আরও একটা ছবি ‘মায়া’ রিলিজ হওয়ার কথা শুনতে পাচ্ছি। দেখা যাক, দুটো সিনেমা রিলিজ হলে তো আমার জন্যও আনন্দের।”
গেলো ফেব্রুয়ারিতে গুঞ্জন ওঠে, আসন্ন কান উৎসবে যাবেন বুবলী। ‘চাদর’ নামের ছবি নিয়েই কানযাত্রা হবে তার। সঙ্গে সহ-অভিনেতা সাইমন সাদিক ও ছবির পরিচালক জাকির হোসেন রাজু। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই স্পষ্ট কিছু বললেন না বুবলী।
তার মতে, ‘কান তো অনেক বড় উৎসব। আমি নিজেও শুনেছি এই উৎসবে যাওয়ার কথা। যেহেতু এটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া, সুতরাং কীভাবে কী হবে, সেটা আমার নির্মাতা-শিল্পী ভালো বলতে পারবেন।’
বুবলীর কাছে শাকিব প্রসঙ্গে প্রশ্ন থাকে বরাবরই। কেননা তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কও রয়েছে। ঈদে শাকিবের সিনেমা ‘রাজকুমার’ মুক্তি পাচ্ছে। সেটার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামছেন কিনা, এ প্রসঙ্গে বুবলীর জবাব, ‘তিনি পঁচিশ বছর ধরে কাজ করছেন।
আমার ফিল্ম জার্নি শুরু হয়েছে তার হাত ধরে। তার ছবি রোজার ঈদে আসছে, আমিও আসছি। আমরা যার যার জায়গা থেকে ভালো ছবি নিয়ে আসছি। এখানে প্রতিযোগিতার কিছু নেই। আমি সবসময় তার ছবির জন্য শুভকামনা জানাই। ইনফ্যাক্ট সবার ছবির জন্যই শুভকামনা থাকে।’
কিছু দিন আগে শাকিব খানেরও কর্পোরেট জগতে অভিষেক হয়েছে। একটি বহুজাতিক কোম্পানির পরিচালক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন তিনি।
সে প্রসঙ্গ টানতেই বুবলী বলেন, ‘তিনি আগে থেকেই বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে। সেখান থেকে সফলভাবে ছবি বানিয়েছেন। এছাড়া আরও কিছু ব্যবসাও আছে, যেগুলোর কথা তিনি প্রকাশ করেন না। আমি মনে করি তিনি অভিনেতা হিসেবে যেমন সেরা, তেমনি বিজনেসেও বেস্ট।’
বুবলীর এই কথার সূত্র ধরে শাকিব প্রসঙ্গে একটি গোপন তথ্য জানালেন যমুনার এক কর্মকর্তা। তিনি জানান, ২০০৮ সালে যখন যমুনা ফিউচার পার্কের দোকান বিক্রি প্রক্রিয়া শুরু হয়, তখন একটি বিজ্ঞাপনচিত্র প্রচার করা হয়েছিল। সেটা দেখে পরদিনই যমুনার অফিসে হাজির হন শাকিব। এবং শপিং মলটির প্রথম দোকান তথা ০০০১ আইডির দোকানটি ক্রয় করেন। অর্থাৎ যমুনা ফিউচার পার্কের প্রথম দোকানের মালিক শাকিব খান।