বিনোদন ডেস্ক : তিনি আছেন অস্ট্রেলিয়ায়। ঈদে মুক্তি পাবে দিলারা হানিফ পূর্ণিমা অভিনীত ছটকু আহমেদের ছবি ‘আহারে জীবন’। সেখান থেকেই ছবি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপের সঙ্গে।
অস্ট্রেলিয়ায় সময় কাটছে কেমন?
এখানে আমার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় যেমন আছে তেমনি চাচারাও থাকেন।
আজ এখানে তো কাল ওখানে দাওয়াত খাচ্ছি। সময়টাও দেখতে দেখতে চলে যাচ্ছে। ২০ দিন হয়ে গেল তবুও মনে হচ্ছে গতকাল এসেছি। তবে দেশের জন্যও একটু মায়া লাগছে।
অনেকে বলছেন, নাকি আমি অস্ট্রেলিয়া সেটেল হওয়ার চেষ্টা করছি। মোটেও ঠিক নয় কথাটা। চাইলে আরো ১৫ বছর আগে আমেরিকায় সেটেলড হতে পারতাম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেকে বলেছিল, সেখানে নাগরিকত্ব নেওয়ার জন্য।
আমি সেটা করিনি। দেশেই তো অনেক ভালো আছি। কেন একেবারে বিদেশে চলে যেতে হবে?
ঈদে আপনার অভিনীত ‘আহারে জীবন’ মুক্তি পাবে। প্রচারণায় দেশে আসবেন?
অস্ট্রেলিয়া আসার পরে জানলাম ছবিটি ঈদে মুক্তি পাবে। আমার ফিরতে আরো আট-দশদিন লাগবে।
এখনো ছবির প্রচার-প্রচারণা নিয়ে আমাকে কেউ কিছু বলেননি। দেশে তো ফেরদৌস আছে। আমি আসা পর্যন্ত সে প্রচার-প্রচারণা করবে। আর যদি নির্মাতা ছটকু আহমেদ আমাকে বলেন এখান থেকে ভিডিও বার্তা পাঠাতে আমি সেটাও করতে পারব। আর ঈদের তিন-চারদিন আগে যখন দেশে ফিরব তখনও টিমের সঙ্গে থাকতে পারব।
‘আহারে জীবন’-এর গল্প কী নিয়ে?
ছবির গল্পটা করোনা সময়ের। সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনো শরীর শিউরে ওঠে। প্রতিটা পরিবারেই তখন আলাদা আলাদা করে নানা ঘটনা ঘটে গেছে। এমনও হয়েছে, পাশের বাসার মানুষও বুঝতে পারেননি আরেকটা বাসায় কি হচ্ছে। আমার পরিবারেও তেমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যা আকস্মিক। সেই ঘটনাগুলোর সমন্বয়ে ছবিটি নির্মিত হয়েছে।
গতবার অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে অভিনেত্রী শাবনূরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এবার দেখা হয়েছে তাঁর সঙ্গে?
এবার দেখা হয়নি। আসলে সময় পাইনি! বললাম না, ২০ দিন কোথা থেকে কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না। এবার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে ঢাকায় ফেরার আগে তার সঙ্গে ফোনে কথা বলব।
‘আহারে জীবন’ ছাড়া ঈদে আর কী আসবে আপনার?
অস্ট্রেলিয়া আসার কারণে কিছুই করতে পারিনি। বেশ কয়েকটি ঈদ অনুষ্ঠানের প্রস্তাব ছিল হাতে, নাটকের পান্ডুলিপিও ছিল বেশ কয়েকটি কিন্তু সবাইকে ‘না’ করতে হয়েছে। আসার আগে শুধু চ্যানেল আইয়ের ‘মনোহর ইফতার’-এর শুটিং করেছিলাম এক পর্বের। সেটা মনে হয় রোজার মধ্যেই প্রচারিত হবে।
‘গাঙচিল’ ও ‘জ্যাম’ ছবির নতুন কোনো খবর আছে?
‘গাঙচিল’ ছবির শুটিং শেষ। এখন কিছু পোস্ট প্রডাকশনের কাজ বাকি। এই ঈদেই ছবিটি মুক্তি দেওয়া যেত। তবে অযথা পাড়াপাড়ি করার ইচ্ছে নেই প্রযোজকের। তাই কোরবানির ঈদে ছবিটি মুক্তি পেতে পারে বলে শুনেছি। ‘জ্যাম’ ছবির ৪০ ভাগ শুটিং বাকি। সেটা কবে সম্পন্ন হবে জানি না। পরিচালকও আমার শিডিউল নিয়ে কিছু বলেনি।
দেশে ফিরে নিশ্চয়ই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন?
আমি সব সময় বেছে বেছে কাজ করতে পছন্দ করি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে দেখবেন আমার অভিনীত ছবিগুলোর একটা কোয়ালিটি আছে। আমি এখনো সেটা মেইনটেইন করতে চেষ্টা করি। এখনো একের পর এক ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পাই। বেশিরভাগই রাজি হই না। কারণ এতদিন নিজেকে যেভাবে গড়ে তুলেছি এখন তো সেটা নষ্ট করা যাবে না। ‘হোটেল রিল্যাক্স’ করার পর অনেক ওয়েব কনটেন্টে অভিনয় করার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। করিনি কিন্তু! একই ধরনের গল্পে বারবার কেন অভিনয় করব? দেশে ফিরে হাতে থাকা বেশ কয়েকটি পান্ডুলিপি পড়ে তারপর সিদ্ধান্ত নেব।