বিনোদন ডেস্ক : অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। ২০০৭ সালে গোধুলী লগ্নে নাটক দিয়ে টেলিভিশন পর্দায় অভিষেক হয়। এছাড়া তিনি এটিএন বাংলার সেলিব্রিটি টক-শো ‘সেন্স অফ হিউমার’, এশিয়ান টিভির ‘কমনসেন্স’ এবং একুশে টেলিভিশনের ‘উইথ নাজিম জয়’ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন।
বর্তমানে চ্যানেল আইয়ের ‘৩০০ সেকেন্ড’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে রয়েছেন। এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নে করার জন্য হরহামেশাই সংবাদের শিরোনাম হয়ে থাকেন। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাহরিয়ার নাজিম জয় তার ছেলের সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে দীর্ঘ ক্যাপশন লিখেছেন। যেখানে ব্যাংককের হাসপাতালের সাথে ঢাকার হাসপাতালের পার্থক্য তুলে ধরেছেন।
শাহরিয়ার নাজিম ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ব্যাংকক এর হাসপাতালের সাথে ঢাকার যে কোন পাঁচ তারকা হাসপাতালের যে পার্থক্য তাই একটু বলি। ঢাকার হাসপাতালগুলো গড়পড়তা। বড় ডাক্তার রেফার করে দেয় তারপর সব কাজ ছোট ডাক্তাররাই করে। পেশেন্টের যেহেতু অভাব নাই ভিআইপি পেশেন্ট ছাড়া অন্যান্য পেশেন্ট এর প্রতি অবহেলার দৃষ্টি থাকে। যেন অসুখ হয়েছে কষ্ট তো পাবেই।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আর ঢাকার খুব কাছেই ব্যাংককে হাসপাতালে এলে আপনাকে অভ্যর্থনা দেবে এমনভাবে যেন আপনি কোন ৫ তারকা হোটেলে অতিথি হিসেবে এসেছেন। আপনার সেবায় সবাই নিয়োজিত। কি ডাক্তার কি নার্স কি হসপিটাল কর্মী। আর পরিবেশটা এমন টাকা খরচ হলেও মনে হয় উসুল হল। হাসপাতাল গুলো অনেক বড় দেখার মত এবং আরাম দায়ক। হাসপাতাল হাসপাতাল গন্ধ নাই।’
ক্যাপশনের শেষাংশে জয়ের ভাষ্য, ‘ফল নিয়ে দেখতে আসার কালচার নাই। প্রচুর দর্শনার্থী নাই। ঠিক নাই বলবো না তাদের জন্য খুব সুন্দর জায়গার ব্যবস্থা আছে। সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা তা হচ্ছে নিয়ম। নিয়ম ভাঙ্গলে আছে টাকার জরিমানা। পৃথিবীর কোন পাবলিক আইনই বাস্তবায়ন সম্ভব না যদি না কঠোরভাবে টাকা জরিমানা করা হয়। মানুষ টাকা হারাতে ভয় পায়। সম্মান হারানোর থেকেও অনেকের কাছে টাকা হারানোর ভয় বেশি। আমরা এখন ব্যাংকক হাসপাতালে। আযানের জন্য দোয়া করবেন।’
আনোয়ার পারভেজ নামে এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘চিকিৎসাও ভাল। বাংলাদেশের অনেক নামকরা ডাক্তার এর ভুল চিকিৎসার উদাহরণ পাবেন। দিনে ১৭/১৮ ঔষধ বাদ দিয়ে তারা ঔষধ দেন ৩ টা তাও ৬ মাসের জন্য পাশাপাশি আযানের জন্য দু'আ রইলো।’
আল আমিন নামে আরেক ভক্তের ভাষ্য, ‘টাকার জরিমানা এই দেশে হলে ওটাতেও কিছু চামচা আর পাতিনেতার পেট রুজি হবে। দেশে তো চামচা আর নেতার অভাব নাই। সঠিক আইন থাকলে এই চামচা এগুলোকে মাঠে হাল চাষ করে খেতে হতো। আইন বাস্তবায়নে বড়ই অভাব।’