বিনোদন ডেস্ক : আজ অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমার জন্মদিন। এবারের জন্মদিন ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।
সাদামাটা জন্মদিন
ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেই হাসতে হাসতে ‘ধন্যবাদ’ দিলেন। জানালেন, এবারের জন্মদিনটা খুবই সাদামাটাভাবে কাটবে। কারণ কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছে একমাত্র সন্তান আরশিয়া উমাইজা। প্রতিবছর জুন-জুলাই উমাইজার স্কুল বন্ধ থাকে। তাকে নিয়ে পূর্ণিমা দেশ-বিদেশের নানা জায়গায় ঘুরতে যান। এবার সেটাও হচ্ছে না।
স্বাভাবিকভাবে তাই মনটা খারাপ। বলেন, ‘জন্মদিন বা অন্যান্য বিশেষ দিন আমাকে খুব একটা টানে না। তার পরও মেয়েটা বড় হওয়ার পর থেকে নানাভাবে আমাকে সারপ্রাইজ দেয়। ওর ছোট ছোট সারপ্রাইজ আমাকে অনেক আনন্দ দেয়।
এবার উমাইজা অসুস্থ থাকার কারণে কোনো কিছু ভালো লাগছে না। হয়তো বাড়ি থেকে বেরই হব না আজ।’
সারা জীবন রবিনকে চাই
কিছুদিন আগেই (২৩ জুন) ছিল পূর্ণিমার স্বামী আশফাকুর রহমান রবিনের জন্মদিন। দিনটি ঘটা করে পালন করেছিলেন পূর্ণিমা। কেক কাটা, স্বামীকে উপহার দেওয়া, এমনকি ঘুরতেও বের হয়েছিলেন দুজন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে স্বামীকে নিয়ে লিখেছিলেন, ‘আমার সমস্ত অপরাধের সঙ্গী ও জীবনের ভালোবাসাকে শুভ জন্মদিন। তুমি আমার জীবনকে ভালোবাসা, হাসি ও আনন্দ দিয়ে পূর্ণ করেছো। একসঙ্গে আরো অনেক সুন্দর মুহূর্ত পার করতে চাই।’
নিশ্চয়ই স্ত্রীর জন্মদিন নিয়ে রবিনেরও কোনো পরিকল্পনা আছে! তবে গতকাল পর্যন্ত সেটি জানতে পারেননি পূর্ণিমা। বলেন, ‘হয়তো আমাকে চমকে দেবে! এখনই তো কিছু বলবে না। সত্যি বলতে, আমি কখনো বড় কোনো কিছু চাই না। ছোট ছোট ভালোবাসা, খুনসুটি আমাকে অনেক আনন্দ দেয়। রবিনকে আগেই বলেছি, কিছু লাগবে না। সারা জীবন পাশে থাকলেই চলবে।’
নতুন করে ‘আহারে জীবন’
রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল পূর্ণিমা অভিনীত ‘আহারে জীবন’। ছটকু আহমেদ পরিচালিত ছবিটিতে তাঁর সহশিল্পী ফেরদৌস আহমেদ। করোনার সময়ে ঘটে যাওয়া নানা দুর্ঘটনা নিয়ে ছবির গল্প। ঈদে প্রেক্ষাগৃহে তেমন সুবিধা করতে না পারলেও ইউটিউবে মুক্তির পর বেশ সাড়া পাচ্ছে ছবিটি। দুই সপ্তাহে ১৫ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়েছে ছবিটি। পূর্ণিমা বলেন, ‘আমাকে অনেকেই মেসেজ দিচ্ছেন ছবিটি দেখে। কী ভয়াবহ সময় কাটিয়েছিলাম করোনার মধ্যে। ছবিটি দেখার পর ওই সময়টা সবাই নতুন করে উপলব্ধি করছে। মুক্তির সময় সঠিক প্রচার-প্রচারণা হয়নি বলেই হয়তো দর্শক পর্যন্ত পৌঁছায়নি। যত সময় যাবে দর্শক ছবিটি আরো বেশি গ্রহণ করবে। এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে একটা দলিল হয়ে থাকবে। করোনা এসেছিল, মানুষের জীবন থমকে দিয়েছিল—ছবিটি দেখে সবাই স্মরণ করতে পারবে।’
ভেবেচিন্তে নতুন কাজ
ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন। দেশটিতে ছিলেন দুই মাসের বেশি। ফলে নতুন কোনো ছবি, বিজ্ঞাপনচিত্র বা ওটিটির কাজ হাতে নিতে পারেননি। দেশে ফেরার পর অনেক নির্মাতাই পূর্ণিমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। পূর্ণিমা বলেন, ‘কয়েকটা ছবির প্রস্তাব পেয়েছি। এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। ওটিটি প্ল্যাটফরমের নির্মাতারাও আছেন তালিকায়। একটু ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেব। জানেনই তো, এখন আমি বেছে বেছে কাজ করি। যদিও এই কথা অন্যরাও বলেন, তবে আমার কাজ দেখলেই সেটা পরিষ্কার। প্রতি দশকে ইন্ডাস্ট্রির পরিবর্তন ঘটে। নব্বই দশকের শেষ দিকে আমার শুরু। শূন্য দশকে যেমন ছবি হতো, পরের দশকে কিন্তু পুরোটাই বদলে গিয়েছিল। আর এখন তো বুঝতেই পারছেন কোন ধরনের ছবি হচ্ছে। তাই হুটহাট সিদ্ধান্ত না নিয়ে একটু সময় নিতে চাই।’