বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত এখন রাজনীতির ময়দানে পুরোদমেই সক্রিয়। বর্তমানে ভারতের সংসদ সদস্য এই অভিনেত্রী। হিমাচলের মান্ডি থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। তবে হঠাৎ করেই বড় বিপাকে পড়লেন অভিনেত্রী।
তার নির্বাচনী জয়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছেন একজন। আর সেই মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্ট বুধবার (২৫ জুলাই) কঙ্গনাকে নোটিশ পাঠিয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, আবেদনকারী লায়াকরাম নেগি আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার অবৈধ ভাবে তার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন। এখন মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
হিমাচলের কিন্নরের বাসিন্দা নেগি সাবেক সরকারি কর্মচারি। এ ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর থেকে তার ‘কোনও বকেয়া নেই’ বলে শংসাপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। নেগির দাবি, নিয়ম মেনেই তিনি তার কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন।
কিন্তু এরপরে এক দিনের মধ্যে তাকে বিদ্যুৎ, পানি এবং টেলিফোন দপ্তরের ‘বকেয়া নেই’ সংক্রান্ত শংসাপত্র জমা দিতে বলা হয়। এবং সেগুলো পেশের সময় না দিয়েই মনোনয়ন বাতিল করা হয়। মনোনয়ন জমা দেওয়ার একদিন পরেই প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিযেছিলেন বলে দাবি করেছেন নেগি। তিনি বলছেন, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার তা গ্রহণ করেননি।
এ বছর অনুষ্ঠিত হওয়া ভারতের লোকসভা নির্বাচনে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতকে মান্ডি আসন থেকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি।
নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ছয় বারের নির্বাচিত কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের পুত্র বিক্রমাদিত্য। নির্বাচনে ৭৪৭৫৫ ভোট পেয়ে সংসদের আসনে বসেন কঙ্গনা রানাওয়াত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আস্থাভাজন হিসেবেও পরিচিতি পাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।