শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০২:৪১:১১

‘অবশ্যই এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যেই পড়ে, এর জন্য অপমান আমার প্রাপ্য’

‘অবশ্যই এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যেই পড়ে, এর জন্য অপমান আমার প্রাপ্য’

বিনোদন ডেস্ক : নিজেকে বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় নায়ক (টিভি ও চলচ্চিত্র) দাবি করে উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে লিখেছিলে এক চিঠি। বলেছিলেন, তার দোয়ায় ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণের বিনোদনের অন্যতম উৎস হয়ে আছে টিভি পর্দায় এবং সুস্থ চলচ্চিত্রে।

বেশ কয়েক বছর আগে লেখা চিঠিটি আবার নতুন করে ভাইরাল হয়েছে। সেই চিঠির উদ্দেশ্য ছিল একটি প্লট।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তার কাছে নিজেকে সুযোগ্য সন্তান দাবি করে আবদার করেছিলেন আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়।

শেখ হাসিনার কাছে রাজধানীর নিকটস্থ পূর্বাচলে একটি প্লটের আবেদন করেছিলেন অভিনেতা জয়। সেই আবেদনপত্র কয়েক দফায় ভাইরাল হয়েছিল ফেসবুকে। ২০১৪ সালে পূর্বাচলে জায়গা পাওয়ার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন এই অভিনেতা।

এবার সরকার পতনের পর আবারও ভাইরাল হলো। বিষয়টি নিয়ে জানতে জয়কে বেশ কয়েকবার ফোন করা হয়েছে। হোয়াটঅ্যাপে পাঠানো হয়েছে খুদে বার্তা।

অবশেষে সাড়া মিলেছে তার। ফেসবুকে এক পোস্ট করে দায় সেরে জানিয়েছেন, যা বক্তব্য সেটা পোস্টেই বলা হয়েছে। ফোন না ধরার কারণ সম্পর্কে জানিয়েছেন ফোনটি বারবার হ্যাং হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ফেসবুক পোস্টে শাহরিয়ার নাজিম জয় লিখেছেন, ‘আলো আসবেই গ্রুপে পান নাই। ইউটিউবারদের ষড়যন্ত্রে পান নাই। তাই বলে আমাকে ছেড়ে দেবেন কেন? ২০১৪ সালের একটি চিঠি এই নিয়ে ১৪ বার ভাইরাল করলেন। 

সাবেক সরকারের কাছ থেকে অনেকেই জমি নিয়েছেন। সেই প্লটগুলো ১৩-এ ধারা। এই সরকার ইতিমধ্যে সব প্লট বাতিল ঘোষণা করেছে। তার পরও ফেসবুকে এই চিঠি নিজস্ব লোকেরা পোস্ট করছেন, আমার নম্বর ভাইরাল করছেন এবং আমাকে সামাজিকভাবে হেনস্তা করছেন।’

তিনি চিঠি প্রসঙ্গে লেখেন, ‘অবশ্যই এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যেই পড়ে। এর জন্য অপমান আমার প্রাপ্য। কিন্তু দেখেন শাস্তিটা বেশি দিয়ে ফেলেন না। আল্লাহ তবে আপনাদেরও ক্ষমা করবেন না। 

আল্লাহ যে আছেন এবং যথাসময়ে পাপের শাস্তি হয়, তা আমরা তো সবাই বুঝে গেছি তাই না? ঘৃণা না ছড়িয়ে শান্ত হন। সবাই মিলে ভালো থাকি। চলুন, সবাই যার যার ভুল সংশোধন করি।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে