বিনোদন ডেস্ক : সময়টা ভালো যাচ্ছে না চিত্রনায়ক ওমর সানীর। আগের মতো তাকে খুব একটা অভিনয়ে দেখা যায় না। তবে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব থাকেন এই নায়ক। বর্তমানে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা নিয়ে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চাপওয়ালা নামে রেস্টুরেন্ট খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি ব্যবসা নিয়ে আক্ষেপ করে অভিনেতা জানিয়েছেন দেশের সাম্প্রতিক অবস্থা এমন হবে জানতে পারলে এই ব্যবসায় নামতেন না তিনি।
এদিকে, কিছুদিন আগেই এই নায়কের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। আর সেই চুরির ঘটনা ঘটার ১৩ দিনের মাথায় এবার বাসায় ডাকাতি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নায়ক নিজেই।
ওমর সানী বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এইচ ব্লকের একটি বাড়িতে থাকেন। একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা স্ত্রী মৌসুমী বছরখানেকের বেশি সময় ধরে মেয়ে ফাইজাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে আছেন। বসুন্ধরার এই বাসায় সানীর সঙ্গে তার এক সহকারী থাকেন। ছেলে ফারদীন এহসান স্বাধীন থাকেন দুবাইয়ে।
ওমর সানী জানান, প্রয়োজনীয় কাজে আমি বাসার বাইরে ছিলাম। রাত ১২টার পর ঘরের মেইন গেট দিয়ে ঢুকে দেখি বেডরুমে ঢুকতে পারছি না। ভেতর থেকে বন্ধ। বেডরুমের চাবিটাও আবার ভেতরে ছিল। নানাভাবে চেষ্টার পর যখন ব্যর্থ হলাম, তখন বাড়ির কেয়ারটেকার ও আমার ম্যানেজারকে বিকল্প উপায়ে বেডরুমে ঢুকতে বলি। তারা বাইরে দিয়ে বারান্দা গিয়ে দেখতে পায়, সেখানকার দরজার গ্লাস ভাঙা। এরপর বেডরুমে ঢুকে দেখে ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকানো। রুমের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে বেশ কয়েকজন এসেছিল। ছিটকিনি খোলার পর বেডরুমে ঢুকে দেখি, অনেক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নেই। এর মধ্যে দুই কোটি টাকা প্রতারণার একটি মামলার ডকুমেন্টও যেমন আছে, তেমনি একটি আইফোন এবং আমার মেয়ের ছোটবেলার উপহারের কিছু স্বর্ণালংকারও ছিল।
তিনি বললেন, আমার ছেলে ফারদিন ব্যবসা করতে গিয়ে দুই কোটি টাকা প্রতারণা শিকার হয়েছিল। এ নিয়ে একটি মামলা চলছিল। সামনে এই মামলার রায় ঘোষণার কথা। এর মধ্যে আমার বাসা থেকে অন্যসব জিনিসের পাশাপাশি মামলার অরিজিনাল সব ডকুমেন্ট নিয়ে গেছে! বেডরুমে একটি দামি ল্যাপটপও ছিল, তা কিন্তু নিয়ে যায়নি। তার মানে এটা নিশ্চিত, যারা এসেছিল, তাদের টার্গেটই ছিল মামলার অরিজিনাল ডকুমেন্ট নিয়ে যাওয়া। আমি সত্যিই হতবাক এমন ঘটনায়। বারবার মনে হচ্ছিল, এমনটা তো শুধু ফিল্মে সম্ভব। আমি আমার বাড়িতে ফিল্মি স্টাইলে এমন ডাকাতির নজির দেখলাম! তবে এটা তো ঠিক, আমার আইনজীবীর কাছে তো মামলার সব ডকুমেন্ট আছে। আমাকে অযথা হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই না। আমি এত সহজে দমে যাওয়ার মানুষ নই। জন্মেছি যখন মরব, আমি এসবের শেষ দেখেই ছাড়ব। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। ভাটারা থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।