বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:২২:০৩

তনু ও জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতির ওপর পোস্টার লাগালেন মেহজাবীন চৌধুরী!

তনু ও জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতির ওপর পোস্টার লাগালেন মেহজাবীন চৌধুরী!

বিনোদন ডেস্ক : ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী প্রথমবারের মতো অভিনয় করেছেন সিনেমায়। নাম ‘প্রিয় মালতী’। দেশের বাইরে বিভিন্ন আন্তজার্তিক চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে অবশেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এই সিনেমাটি। 

আগামী ২০ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘প্রিয় মালতী’। সিনেমার মুক্তিকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রচারণায় বের হন মেহজাবীন। যেই প্রচারণায় গিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন তিনি। 

সিনেমার প্রচারে বুধবার বিকেলে টিএসসিতে যান এই অভিনেত্রী। সেখানে নিজ হাতে ‘প্রিয় মালতী’র পোস্টার বিভিন্ন দেয়ালে লাগিয়েছেন তিনি। 

তবে দেয়ালে পোস্টার লাগাতে গিয়েই বিতর্কিত কিছু কাণ্ড ঘটিয়েছেন মেহজাবীন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। 

ইতোমধ্যেই মেহজাবীনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। যেখানে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে ধ.র্ষ.ণে.র পর হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগী জাহান তনুর গ্রাফিতির ওপর পোস্টার লাগাচ্ছেন অভিনেত্রী। 

শুধু তনুই নয়, দেয়ালে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতির ওপরও ‘প্রিয় মালতী’র পোস্টার লাগাতে দেখা যায় মেহজাবীন ও তার দলকে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিওতে নেটিজেনরাও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন মেহজাবীনকে। তার মতো একজন তারকা কীভাবে তনু কিংবা জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতির ওপর নিজের পোস্টার লাগিয়ে সিনেমার প্রচারণা করেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সকলে। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রশীদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মেহজাবীনকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। 

তিনি লিখেছেন, আমার শহীদ বোন তনুকে চেনেন না মেহজাবীন? কার গ্রাফিতির উপর নিজের খোমাওয়ালা পোস্টার লাগাইছেন? চিনবেন কেমনে? আপনাগো সো কল্ড কাল-চারাল পাড়ায় আমার বোনেরে নিয়ে কথা হয় কি?

অভিনেত্রীর সমালোচনায় মোহাম্মদ কাফিল উদ্দিন নামের একজন লিখেছেন, গ্রাফিতির ওপর পোস্টার লাগানোর সাহস কোথায় পেয়েছেন, মেহজাবীন?

আফ্রিদি হাসান নামের একজন লিখেছেন, কার গ্রাফিতির উপর পোস্টার লাগিয়েছেন? খেয়াল করেছেন?একজন মেয়ে হয়েও নির্মমভাবে নিহত তনুর গ্রাফিতিতে নিজের সিনেমার পোস্টার লাগালেন! ধিক্কার জানাই আপনাদের মতো তারকাদের।

এই ঘটনার পরে অনেকেই মেহজাবীনকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন, কেউ কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢুকে তার এমন প্রচারণা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, অনেকেই আবার তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। 

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে মেহজাবীনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে