বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় আছেন ফায়েজ বেলাল নামের এক তরুণ। তবে নিজের নামে না, সংগীতশিল্পী তাহসান খানের স্ত্রী রোজা আহমেদের প্রাক্তন হিসেবে। এরইমধ্যে রোজাকে নিয়ে বেশকিছু আপত্তিকর অভিযোগ এনেছেন তিনি। এরমধ্যে রয়েছে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ও।
ফায়েজ দাবি করেন রোজা তার থেকে মোটা অংকের অর্থ ধার নিয়েছেন। করেছিলেন ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকারও। বিষয়টি নিয়ে রোজা নীরব থাকলেও সরব হয়েছেন তার ছোট ভাই উৎস আহমেদ। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন তিনি।
আজ বুধবার নিজের ফেসবুকে ফায়েজ বেলালকে প্রতারক দাবি করেছেন উৎস। প্রতারণার কারণে রোজার সঙ্গে সম্পর্ক টেকেনি বলে জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে প্রকাশ করেছেন ফায়েজ বেলালের সাথে স্ক্রিনশটের একটি ভিডিও পোস্ট করেন উৎস।
তিনি লেখেন, “ফায়েজ বেলালের ভাইরাল হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ হিসেবে এই স্ক্রিনশটের প্রকাশ। তার প্রত্যেকটা অভিযোগ মিথ্যে। এই ফায়েজ বেলাল আপুর অগোচরে আপুকে চিট করেছে বারবার এক মেয়ের সাথে এটাই ছিল মেইন কারণ ব্রেকআপের। এর প্রমাণ দিয়ে মেয়েটির রেপুটেশন নষ্ট করতে চাচ্ছি না। এই ঘটনা বরিশালের সবার জানা।”
উৎস লেখেন, “আমি রোজা আপুর আপন ছোট ভাই হিসেবে ফায়েজ বেলাল এর সাথে যোগাযোগ করে আপুর দেওয়া টাকা ফেরত চেয়েছি। তাদের বেশ অনেক আগে ব্রেকআপ। এরপর আপু যোগাযোগ রাখেননি কিন্তু ফায়েজের কাছে পাওনা টাকা কাউকে না কাউকে চাইতে হবে বলে আমি যোগাযোগ রাখি।”
উৎস বলেন,“স্ক্রিন রেকর্ডিং এ স্পষ্ট দেখতে পাবেন, টাকাটা ফায়েজ বেলাল অনেকদিন ধরে ধীরে ধীরে ফেরত দেন। স্ক্রিন রেকর্ডিং এ দেখতে পাবেন সে তার ভেরিফাইড আইডিতে স্পষ্ট দেখতে পাবেন সে টাকাটা আস্তে আস্তে ফেরত দেন। যেখানে আমার বোন তাকে টাকা ধার দিল এবং ফেরত নিল সেখানে তার এমন মিথ্যাচার একটা গর্হিত অপরাধ।”
রোজার ভাই লেখেন,“আমার বোন আমাদের ছায়ার মতো আগলে রেখেছে, আপু আমার বাবার সমান। তার ওপর এমন মিথ্যাচারের প্রতিবাদ আমাকে করতেই হবে।”
উৎসর প্রকাশিত স্ক্রিনশটে দেখা যায়, ফায়েজ বেলালকে ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালের দুপুর ৩টা ১১ মিনিটে বার্তা পাঠিয়েছিলেন উৎস। সেখানে কথোপকথনে তিনি লেখেন, ‘ভাইয়া, রোজা আপুর কি টাকা নাকি তোমার কাছে?’ জবাবে ফায়েজ লিখেন,‘না ভাই, সব একাউন্টে দিয়ে দিছি।’ উৎস আবার লিখেন, ‘কিসের নাকি টাকা পায় বলল আমারে’, জবাবে ফায়েজ লিখেন,‘যেদিন এফবি দিয়ে লিভ নিছি ওইদিনই দিয়ে দিছি’, আবারও উৎস লিখেন, ‘তোমারে দিছিলো নাকি কিসের’, জবাবে ফায়েজ লিখে পাঠান, ‘হ্যাঁ, দুই লাখ। ওইটাও এড করে দিছি ভাই’। উৎস আবার লিখে, ‘ওহ, ব্যাংকে দিছো?’ জবাবে ফায়েজ লিখে, ‘হ্যাঁ ভাই, তোমরা কেউ তো দেশে নাই, সো ব্যাংক ছাড়া কোনো অপশন ছিলো না। এখন সব পেইড।’
এর আগে ফায়েজ বেলাল সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘রোজা বিদেশ যাওয়ার সময় আমার কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকার মতো নিয়েছেন। সে টাকাগুলো আমি পাইনি, আমি জানি না সে টাকাগুলো ফেরত দেবে কিনা। এছাড়া আর আগেও তার একটি সম্পর্ক ছিল। লাস্ট বয়ফ্রেন্ড ছিলাম আমি। আমাদের ৯ বছরের রিলেশন। এমনকি একমাস আগেও সে আমাকে ফোন করে সব মিটমাট করে ফেলতে চেয়েছিল।’ তারই পরিপ্রেক্ষিতে রোজার হয়ে জবাব দিলেন উৎস।