সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১০:০৯:৫৩

আমার চেয়ে বরং ওই গরিব মানুষটার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেল: সাইফ

আমার চেয়ে বরং ওই গরিব মানুষটার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেল: সাইফ

বিনোদন ডেস্ক : সাইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল গোটা মুম্বাই শহর। হামলার তিন দিন পরেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছিলেন মূল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম। 

এই ঘটনার প্রায় একমাস হতে চললো। গত কয়েক দিন হলো, ফের কাজে ফিরেছেন সাইফ। প্রশ্ন উঠছে, এখন নিরাপত্তার খাতিরে কী কী বিষয় মাথায় রাখছেন অভিনেতা? 

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের কাছে সেই রাতের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন সাইফ। নিজের নিরাপত্তায় বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখবেন কি না, তা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। 

এক সময়ে বন্দুক রাখতেন সাইফ। কিন্তু সন্তানদের সুরক্ষার কথা ভেবে আর রাখেননি। সাইফ বলেছেন, ‘আমার নিজেরও একটি বন্দুক ছিল। সৌভাগ্যবশত, এখন আর আমি বন্দুকটা রাখি না। এখন আর বন্দুক রাখায় বিশ্বাস করি না আমি। ভেবেছিলাম, বন্দুক দেখলেই বাচ্চারা হাত দেবে। তারপর আরেক সমস্যা হবে।’ 

সাইফ আরও বলেন, ‘পটৌদীদের কাছে আগে বন্দুক থাকত ঠিকই। রাজওয়ারা ও রাজস্থানি— যাদের কাছে সাধারণত বন্দুক থাকে, তারা সকলে আমাকে মেসেজ পাঠাচ্ছে। তারা বলছে, দুষ্কৃতী কীভাবে পালিয়ে বাঁচল সেই রাতে। আমার বাবা কিন্তু বন্দুক নিয়ে ঘুমাতেন। কিন্তু আমি মনে করি, বন্দুকের জন্য অঘটন ঘটে যেতে পারে। বাচ্চারা এসব নিয়ে খেলতে আসে। তারপর অঘটন ঘটে গেলে মুশকিল।’
সাইফের কথায়, ‘তবুও এখন লোকজন আমাকে বলছেন, নিরাপত্তার জন্য বন্দুক নিয়ে ঘুমনো উচিত।’ 

তাহলে ভবিষ্যতে কি নিজের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখবেন সাইফ? অভিনেতা বললেন, ‘মনে হয় না, আমি সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখব। আমার জীবনযাপনে কোনও পরিবর্তন হবে না। আমার মনে হয় না, আমার আর কোনও ঝুঁকি রয়েছে। এটা একটা ডাকাতির ঘটনা ছিল মাত্র। আমার চেয়ে বরং ওই গরিব মানুষটার (অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম) জীবনটা নষ্ট হয়ে গেল।’

এদিকে সেদিনের ঘটনা তুলে ধরে সাইফ বলেন, ‘সেদিন সন্ধ্যায় কারিনা বান্ধবীদের সঙ্গে পার্টিতে গিয়েছিল। পরের দিন ভোরে আমার একটি কাজ ছিল। তাই আমি যাইনি। বেবো বাড়িতে ফেরার পর আমরা কিছুক্ষণ গল্প করি। তারপর ঘুমাতে যাই। কিছুক্ষণ পরে জেহর দেখভালকারী গীতা এসে আমাদের ঘুম থেকে তোলেন। বলেন, এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ছুরি হাতে জেহকে ধরে রয়েছে। আমার কাছে টাকা চাইছে! ঘড়িতে রাত তখন দুইটা বাজে।’ 

আচমকা ঘুম ভাঙায় নিজেকে প্রকৃতিস্থ করতে কিছুটা সময় লেগেছিল অভিনেতার। তারপরেই কারিনাকে নিয়ে ছোট ছেলের ঘরের দিকে দৌড় দেন তিনি। সেখানে গিয়ে দেখেন, আনুমানিক বছর তিরিশের এক ব্যক্তি হাতে ছুরি বা করাত জাতীয় কিছু অস্ত্র জেহর দিকে তাক করে রয়েছেন। বিছানায় লাঠির মতো কিছু একটা রাখা। ছেলেকে ওই অবস্থায় দেখে কাণ্ডজ্ঞান খুইয়ে বসেন সাইফ। কিছু না ভেবেই আততায়ীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। বাধা পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন হামলাকারী। ধ্বস্তাধ্বস্তির মধ্যেই ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে সাইফকে। যার জেরে আহত হন অভিনেতা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে