এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক রুবেল এক সময়ের অ্যাকশন হিরো। তার রুদ্ধশ্বাস মারপিটের দৃশ্য আজও মনে রেখেছেন ভক্তরা। কিন্তু সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন ফেক আইডি থেকে তাকে নিয়ে একের পর এক মৃত্যুর গুজব ছড়ানোয় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে তার পরিবার। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার রুবেল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এবার রুবেলের বড় ভাই চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক ও নির্দেশক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা ক্ষোভ ঝাড়লেন গুজবকারীকে নিয়ে।
রুবেলকে নিয়ে যারা মিথ্যা ছড়াচ্ছেন, তাদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। যেখানে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছেন গুজব রটনাকারীদের।
রুবেলের সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে সোহেল রানা তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আল্লাহর রহমতে আপনাদের দোয়ায় রুবেল সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। মিথ্যা প্রচারে নাকি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, যদি আবারও এমন ধরনের বাজে কথা কেউ প্রচার করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পরে আরেক স্ট্যাটাসে অভিনেতা লেখেন, ‘অমানুষের বাচ্চারা সংযত হও। রুবেলের মিথ্যা মৃত্যু সংবাদ প্রচার করলে এবার কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সোহেল রানার এমন পোস্টের পর অনেকে তাকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি যারা এ ধরনের খবর প্রচার করেছেন, তাদের প্রতি নিন্দাও জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ‘লড়াকু’ সিনেমা দিয়ে ১৯৮৬ সালে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে রুবেলের। এরপর তিনি উপহার দিয়েছেন জনপ্রিয় অনেক সিনেমা। বাংলা সিনেমায় কুংফু, কারাতে, মার্শাল আর্টের অ্যাকশন তিনিই জনপ্রিয় করেছেন। দীর্ঘদিন নতুন কোনো সিনেমায় দেখা না গেলেও চলতি বছরে নাম লিখিয়েছেন ওটিটিতে। অভিনয় করেছেন রায়হান রাফীর ‘ব্ল্যাক মানি’ ওয়েব সিরিজে।
বর্তমানে রুবেল (মাসুম পারভেজ) সুস্থ আছেন এবং নতুন কোনো প্রকল্পে কাজের খবর না থাকলেও তিনি ভক্তদের আশ্বস্ত করেছেন, শিগগিরই আবার পর্দায় দেখা যাবে তাকে।
অন্যদিকে, বর্ষীয়ান অভিনেতা সোহেল রানা (আসল নাম মাসুদ পারভেজ) নিজেও কিছুদিন আগে ঘোষণা দিয়েছেন অভিনয় থেকে তার বিদায়ের কথা। শুধু তাই নয়, রাজনীতি থেকেও সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘পারভেজ ফিল্মস’ থেকে তৈরি হয়েছিল দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’।
১৯৭৩ সালে ‘মাসুদ রানা’ ছবির মাধ্যমে নায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র অবলম্বনে নির্মিত সেই সিনেমা দিয়ে তিনি দর্শকহৃদয়ে স্থান করে নেন। পরবর্তীতে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের কিংবদন্তি।