 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
বিনোদন ডেস্ক : মডেল মারিয়া মিমকে ভালোবেসে বিয়ে করেন অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। ২০১২ সালে তাদের বিয়ে হয়। এর সাত বছর পর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তাদের দুজনের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
ভালোই চলছিলো তাদের সাংসারিক জীবন। তবে ২০১৮ সালে মিম মডেলিং ও অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে সিদ্দিক তাতে রাজি হন না। এ নিয়ে সৃষ্ট হয় জটিলতা। অবশেষে ২০১৯ সালের শেষের দিকে বিচ্ছেদ হয়ে যায় দুজনের।
এরপর থেকে নিজেকে ও সন্তানকে নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন মিম। তার দাবি, সন্তানের সকল ভরণপোষণ তিনিই করছেন। বাবা হিসেবে সিদ্দিক কিছুই করেন না।
এই মুহুর্তে তারকাদের নিয়ে চলছে সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগ।
এবারের আয়োজনে অংশ নিয়েছেন মারিয়া মিমও। খেলার ফাঁকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথনে উঠে আসে অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনও। তখন সন্তান প্রসঙ্গে এই মডেল বলেন, ‘ছেলেকে নিয়ে সিদ্দিক এক ধরণের পলিটিক্স করে। যখন আমার বাচ্চা তার কাছে যায়, সে অনেকগুলো ছবি তুলে রাখে। পরে সেগুলো ফেসবুকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আপলোড করে।
যাতে মানুষ মনে করে, সন্তান ওর কাছেই থাকছে। কিন্তু তেমনটা কিন্তু না। কারণ ৬ মাসে ১ বার আরশ তার বাবার কাছে যায়। সেটাও দুই একদিনের জন্য। বাকিটা সময় কিন্তু আমার কাছেই থাকে। তবুও মানুষ মনে করে, আমি সন্তানকে রেখেই বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছি।’
মিম জানান, সিদ্দিক তার সন্তানের ব্রেইন ওয়াশ করে তার কাছ থেকে দুরে সরাতে চায়। এজন্য তিনি সন্তানকে বাবার কাছে বেশি থাকতে দেন না। মিম বলেন, ‘আমি যখন ছেলেকে তার কাছে পাঠাতাম সে ব্রেইনওয়াশ করতো। আদালত থেকে বলেছিল, কিছুদিন পরপর আরশ তার বাবার কাছে যেতে পারবে। কিন্তু সেখানে রাতে খাকতে পারবে না। বিকেল ৫ টার আগেই চলে আসতে হবে। কিন্তু আমি সেটা করতাম না। তাকে দুইদিন বাবার কাছে থাকতে দিতাম। কিন্তু দেখতাম, ছেলে সেখান থেকে আসার পরই বলছে- মাম্মি, বাবা তোমার কাছে আসতে নিষেধ করে।’
মিমের ভাষ্যমতে, তিনিই ছেলের সবকিছু করছেন এখন। তার ভরণপোষণ থেকে শুরু করে সব। তার বাবা সিদ্দিক কিছুই দিচ্ছেন না। এমনকী দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়ালেও সেটা আরশকে সঙ্গে নিয়েই যাচ্ছেন মিম।