বিনোদন ডেস্ক : বিনোদন ও আনন্দের মাধ্যম হলেও টিকটক বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য হয়ে উঠছে এক অদ্ভুত প্লাটফরম। বাংলাদেশি অধিকাংশ টিকটকারই বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সমালোচনায় থাকেন বছরজুড়ে। যাদের মধ্যে অন্যতম টিকটকার প্রিন্স মামুন ও তার স্ত্রী লায়লা। দুজনকে ঘিরে আলোচনা সমালোচনা যেন নিত্যদিনের বিষয়! বিচ্ছেদ-মামলা বিতর্কের পর এখন আবারও আলোচনার কেন্দ্রে এ জুটি। আরেক টিকটকার অনামিকা ঐশী।
লায়লার করা মামলায় কারাবরণ শেষে জামিনে মুক্তি পান মামুন। জামিনের পর তাদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও তা স্থায়ী হয়নি। হঠাৎ করেই শুরু হয় নতুন করে বিবাদ।
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে মামুন ও আরেক টিকটকার অনামিকা ঐশীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ভিডিও, যা নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে টিকটকার ঐশী ও মামুনের একাধিক ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, অ-ন্তর-ঙ্গ অবস্থায় সময় কাটাচ্ছেন তারা। শুধু তাই নয়, টিকটকার মামুনকে একাধিক মেয়ের সঙ্গে ঘুরতে দেখা যায় বলে দাবি করেছেন লায়লা।
তার দাবি, মাদক সেবন করে একাধিক নারীর সঙ্গে শা-রী-রিক সম্প-র্কে জড়িয়েছেন মামুন। তবে এই অভিযোগ মেনে নিতে নারাজ মামুন। উল্টো তার দাবি, মা-দ-কাসক্ত লায়লাও একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
রবিবার (১১ মে) মধ্যরাতে ‘লিংক ভাইরাল হওয়ার পর মামুনকে নিয়ে এটাই লায়লার শেষ কথা’ শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে লায়লাকে বলতে শোনা গেছে, ‘সবসময় আপনারা আমাকে খারাপ চোখে দেখেছেন।
আপনারা মনে করেন আমিই ভিলেন। কিন্তু বলে রাখি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে কখনও আটকে রাখা যায় না। কেন আমাকে খারাপ বানানো হয়?’
তিনি বলেন, ‘আমি মামুনকে নেশা করতে বাধা দেই, ম-দ না খাওয়ার জন্য বলি আর মেয়েদের সঙ্গে নষ্টামি করতে নিষেধ করি। এই তিন কারণে আমাকে খারাপ বানানো হয়েছে, হয় এবং আগামীতেও হবে! এই তিনটি কারণে ২০২৩ সালে আমাকে হত্যার উদ্দেশে হামলা করা হয়েছিল।’
আলোচিত এই টিকটক অভিনেত্রী ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন, ‘প্রিন্স মামুন আমার পেটে লাথি দিয়ে বাচ্চা নষ্ট করেছে। তারপরও কোনো অভিযোগ করিনি। সে (মামুন) আমার কাছ থেকে অনেক গুলো টাকা নিয়েছে। তাছাড়া গাড়ি, বাড়ি কিনে দিতে হবে সেইজন্য গতকাল সকালে সে আমার বাসায় অনুপ্রবেশ করে গালিগালাজ করে।’
এদিকে লায়লার অভিযোগের বিষয়ে দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে প্রিন্স মামুন বলেন, সত্যি বলতে আমি এখন একদম অসহায়। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ফাঁসাচ্ছে লায়লা। বাচ্চা নষ্টের কথা বলছে এটাও পুরো মিথ্যা। এতোদিন তো এইসব বলে নাই তাহলে আজকে কেন হুট করেই এইসব বলছে? শুধু তাই নয় টাকা খরচ করে মিথ্যা বিয়ের কাগজ পত্র বানিয়ে সবাইকে দেখাচ্ছে। দিনের পর দিন ও আমাকে ব্ল্যা-কমেইল করেই যাচ্ছে।
মিথ্যা মামলা দিয়ে লায়লা বার বার হয়রানি করছে উল্লেখ করে মামুন আরও বলেন, ‘লায়লা আমাকে ব্যবহার করতো। আমাকে তার কথা মত চলতে আইনি রাস্তা ছাড়াও যা যা করা দরকার সব করতো। আমি আসলে সত্যি খুব অসহায় হয়ে পড়েছি। একজন মহিলা হিসেবে যত ধরনের সুবিধা নিচ্ছে লায়লা। বারবার মামলার হুমকি দিয়ে শারীরিক চাহিদা মেটাতো তার। এমন কি আত্মহ-ত্যার হুমকিও দিতো আমাকে ফাঁসানো জন্য।’