বিনোদন ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবনের নানা দৃশ্য ও ছবি প্রকাশ এবং এসব কনটেন্টের মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধে আঘাত করার অভিযোগে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে টিকটকার প্রিন্স মামুন ওরফে আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং লায়লা। এবার ফের নতুন আলোচনায় তারা।
লায়লা ও মামুনকে এ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.সিরাজুল ইসলাম।
আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলামের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, দেশের সাধারণ নাগরিকদের পক্ষ থেকে তিনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, মূলত টিকটক, ফেসবুক এবং ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লায়লা-মামুনের প্রকাশ করা ভিডিও কনটেন্টগুলো অশ্লীল ও অনৈতিক। সেই সঙ্গে দেশের ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিপন্থি।
অন্যদিকে, শনিবার (১০ মে) লায়লার বাড়িতে প্রবেশ করে ফেসবুক লাইভে আসেন মামুন। লাইভে মামুন অভিযোগ করেন লায়লাই সোশ্যাল মিডিয়াতে মামুনের ব্যক্তিগত ভিডিও প্রকাশ করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লাইভে লায়লার সঙ্গে ঝগড়া করেন মামুন। প্রায় ৩০ মিনিটের ওই লাইভে মামুন বিভিন্ন সময় লায়লাকে গালিগালাজ করে। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে করা লায়লার মামলাগুলো নিয়েও কথা বলে।
লায়লাকে উদ্দেশে করে মামুন বলেন, আমার নামে ৫টা মামলা দিয়ে আটকে রেখেছ। আমাকে পুতুলের মতো নাচাচ্ছ। কোনো মেয়ের সঙ্গে ঘুরতে যেতে দেও না। আমার মোবাইল স্টক করে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ভিডিও নিজের মোবাইলে নিয়ে নিচ্ছ। নেটদুনিয়ায় খারাপ ক্যাপশন দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছ। আমার জীবন অতিষ্ট করে তুলেছ।
শেষে ভক্তদের উদ্দেশে এ টিকটকার বলেন, লায়লা আমাকে বলেছে আইন ছাড়া আরও অনেক কিছু আছে, যা দিয়ে আমার জীবন ধ্বংস করে দেবে। আমি এখন কি করব ভাই; আপনারা আমাকে বুদ্ধি দেন। আমি জানি, লাইভে এসে আমি আমার লাইফ বাঁচাতে পারব না।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে টিকটকার লায়লাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা। লায়লার করা মামলায় কারাবরণ শেষে জামিনে মুক্তি পান মামুন। জামিনের পর তাদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও তা স্থায়ী হয়নি। হঠাৎ করেই শুরু হয় নতুন করে বিবাদ।