 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
বিনোদন ডেস্ক : ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেতা রজনীকান্ত সুপারস্টার হওয়ার আগে যেমন সাধাসিধা জীবনযাপন করতেন এখনো ঠিক তেমন ভাবেই থাকেন। এই সহজ সরল জীবনযাপনের ফলে একবার একজন মহিলা তাকে ভিখারি ভেবেছিল।
এই ঘটনার কথা রজনীকান্তের আত্মজীবনী ‘দ্য নেম ইজ রজনীকান্ত‘- এ উল্লেখ আছে। ঘটনাটা ঘটে ২০০৭ সালে। এর কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে সুপারহিট ছবি ‘শিবাজী:দ্য বস’। ছবির সাফল্যে রজনীকান্ত ভীষণ খুশি। তিনি একদিন ঠিক করলেন মন্দিরে গিয়ে পূজা দেবেন।
রজনীকান্তের মন্দিরে গিয়ে পূজো দেওয়ার ইচ্ছায় সবাই বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন। কারণ তারা জানতেন রজনীকান্ত মন্দিরে গেলে সেখানে তাকে দেখার জন্য হাজার হাজার ভক্ত জড়ো হবে। এবং চাপা পড়ে কয়েকজনের প্রাণ যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। রজনীকান্তের স্ত্রী তাকে অনেক বোঝালেন। কিন্তু তিনি নাছোড়বান্দা।
অগ্যতা রজনীকান্ত ছদ্মবেশে মন্দিরে যাবেন বলে ঠিক করলেন। গায়ে দিলেন একটা নোংরা কোঁচকানো জামা এবং পরনে একটা পুরনো লুঙ্গি। মাথা ঢেকে নিলেন একটা খয়েরী রঙের শালে। নকল দাঁতও পরে নিলেন।
মন্দিরে পৌঁছনোর পর কেউ তাকে চিনতে পারল না। রজনীকান্তকে একজন গরিব বৃদ্ধ লোকের মতো দেখাচ্ছিল। একজন মধ্যবয়সী গুজরাটি মহিলার তাকে দেখে দয়া হয়। ওই মহিলা তাকে ভিখারি ভেবে ১০ টাকার একটা নোট বাড়িয়ে দিলেন। কয়েক সেকেন্ডের জন্য রজনীকান্ত থতমত খেয়ে যান।
নিজেকে সামলে নিয়ে তিনি সেই টাকাটা নিয়ে মন্দিরের ভিতরে ঢুকে যান। ওই মহিলা রজনীর পিছনেই ছিলেন। তিনি দেখলেন পূজা দিয়ে রজনী হাজার টাকা দক্ষিণা দিচ্ছেন। এতে ওই মহিলার সন্দেহ হয়। তিনি রজনীকান্তের পিছনে পিছনে বাইরে আসেন। এসে দেখেন বৃদ্ধ লোকটি একটা খুব দামি গাড়িতে উঠে বসছেন।
সেই মহিলা নিজের ভুল বুঝতে পারেন এবং রজনীকান্তকে থামিয়ে ক্ষমা চান। ওই মহিলা ভিক্ষার টাকাটাও ফেরত চান। কিন্তু রজনীকান্ত হেসে ওপরের দিকে নির্দেশ করে বলে ওঠেন ‘প্রতিবার উনি আমাকে মনে করিয়ে দেন তার সামনে আমি একজন ভিখারি ছাড়া কিছুই না। তুমি নিমিত্ত মাত্র ভগবান এইভাবে বুঝিয়ে দিলেন আমরা সবাই তার সামনে কত ছোট।’ এই বলে রজনীকান্ত সেখানে থেকে বেরিয়ে যান পকেটে সেই দশ টাকার নোটটা নিয়ে।