বিনোদন ডেস্ক : কিছুদিন আগেই আলোচনায় আসেন অভিনেত্রী শায়লা সাথী। ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে নাটকের মধ্যে শীর্ষে ছিল শায়লা সাথী অভিনীত ‘নিয়তির খেলা’। শীর্ষ ১০-এ আসে আরেক নাটক ‘মাটির মেয়ে’। সম্প্রতি পার্থিব সজিবের সঙ্গে একটি প্ল্যাটফরমে কাজ শুরু করেছিলেন শায়লা সাথী।
সেই একই প্ল্যাটফরমে কাজ করেন অভিনেত্রী আরোহী মিম। তবে গত সপ্তাহে শুটিং সেটেই অভিনেত্রী শায়লা সাথীকে জুতা ছুড়ে মারেন আরোহী মিম। যে ঘটনা বেশ আলোচনার জন্ম দেয়।
অভিনেত্রী আরোহী মিমের জুতা ছুড়ে মারার ঘটনার এক সপ্তাহ পর সে প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী শায়লা সুলতানা সাথী।
জানালেন জুতা ছুড়ে মারার আসল কারণ। রবিবার (১৭ আগস্ট) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে সাথী ১৬ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। ভিডিওতে সাথী আরোহী মিমের সঙ্গে ঝামেলার কারণ জানান। বলেন, আরোহী মিম আমার জুনিয়র।
পেশায় ও আমার থেকে ভালো করছে এটা আমাদের দলের জন্য গর্ব। আমি ওর বয়সে অনেক স্ট্রাগল করেছি। আমার বয়স এখন ২৫। আমি দোয়া করি, আমার বয়সে ও জীবনে আরও সফল হবে। তিনি আরও বলেন, ওকে কখনও আমি হিংসা করিনি।
কারণ ও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী না। এখানে প্রতিটি শিল্পীই যার যার যোগ্যতায় কাজ করছে। কেউ কারো জায়গা নিতে পারে না।
আরোহী মিমের সঙ্গে ঝামেলা প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী বলেন, আমার ওর সঙ্গে দুইবার ঝামেলা হয়। একবার সেন্টমার্টিন ট্যুরে। ও ওর ব্যক্তিগত কারণে আমার সঙ্গে ঝামেলা করেছিল। পরে অবশ্য ওর ভুল বুঝতে পেরে নিজেই ভুল বোঝাবুঝির অবসান করে আমাকে সরি বলে। আমিও সবকিছু ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে শুরু করি। এরপর ২০২৩ সালে মিরাজের সঙ্গে ওর বিশাল দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। সে সময় আমাদের দলের বেশিরভাগই মিরাজের পক্ষ নেয়। আমিও মিরাজকে সাপোর্ট করি।
প্রশ্ন উত্থাপন করে তিনি বলেন, ওই সময় নাটকে মিরাজের সঙ্গে কেউ কাজ করছিলো না। তখন আমি ভাইবোনের একটি গল্প লেখি, দলকে দিই। এরপর সে নাটকে আমরা অভিনয়ও করি। এ কাজটা আমি সঠিক মনে করেছি বলেই করেছি। এটা কি আমার দোষ? এ প্রসঙ্গ পুরোটাই ব্যক্তিগত তাই আর কথা বাড়াতে চাচ্ছি না।
জুতা ছুড়ে মারার প্রসঙ্গে সাথী বলেন, আমার একটা ১৫ সেকেন্ডের ভয়েস রেকর্ড কে বা কারা ছড়িয়ে দিয়েছে জানি না। সেটা আমার পুরো বক্তব্য না। আমি আমার দলকে বলেছিলাম, আরোহী মিমের কাছে যেমন আমার নামে অভিযোগ আসে তেমনি আমার কাছেও আরোহী মিমের অভিযোগ আসে। পুরো বিষয়টা ওর সঙ্গে ক্লিয়ার করার জন্যই ওইদিন কথা বলতে যাই। কিন্তু ও পুরো বিষয়টা না শুনে আমাকে তুই, তোকারি করে বাজে বাজে কথা বলতে থাকে।
সাথী আরও বলেন, পরিস্থিতি গালাগালি এমনকি হাতাহাতি পর্যায়ে পৌঁছায়। তখন দলের অন্য সদস্যরা আমাদের থামায়। শুটিং কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে। কিন্তু এরপরও ও আমাকে উদ্দেশ করে জুতা ছুড়ে। একজন সিনিয়রের সঙ্গে এমন আচরণ করায় আমি মেনে নিইনি। ওকে লাথিও মেরেছিলাম। বিষয়টা আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনতে চাইনি। কিন্তু ও এ ঘটনা সবার সামনে প্রকাশ করেছে। এটা আমার, আমার প্রতিষ্ঠানের যেমন অসম্মান, তেমনি ওরও অসম্মান আমি বলবো।
সবশেষে সাথী বলেন, ও আমাকে বলে আমার দর্শক বোকা। আমি সেটা মানি না। আমি বোকা হতে পারি কিন্তু দর্শক কখনও বোকা হতে পারে না। একজন আর্টিস্ট হিসেবে ভক্তদের উদ্দেশে ওর এমন মন্তব্য ও আচরণ আমার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। তারপরও বলছি, এ ঘটনা ঘটানোর জন্য ও একদিন অনুতপ্ত হবে। সে দিন আমার কাছে ক্ষমা চাইলে আমি ওকে মাফ করে দিবো।