বিনোদন ডেস্ক : ‘বিগ বস্ ১৯’-এর অন্যতম প্রতিযোগী কুনিকা সদানন্দ। গত কয়েক দিনে কুনিকাকে আক্রমণ করেছেন অন্য কয়েক জন প্রতিযোগী। সেই শুনে আর নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি ভাইজান।
প্রকাশ্যে কেঁদে ফেললেন সলমন খান। ‘বিগ বস্’-এর ঘরে সপ্তাহান্তে এসে প্রতিযোগীদের বকুনি দেন তিনি। তাঁর বকুনিতে প্রতিযোগীদের চোখে জল আসে। প্রতি বছরই তাঁকে এই রূপে দেখা যায়। কিন্তু এ বার তিনি নিজেই কেঁদে ফেললেন। কী এমন ঘটল?
‘বিগ বস্ ১৯’-এর অন্যতম প্রতিযোগী কুনিকা সদানন্দ। গত কয়েক দিনে কুনিকাকে আক্রমণ করেছেন অন্য কয়েক জন প্রতিযোগী। এমনকি ‘ব্যর্থ অভিনেত্রী’ বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে তাঁকে। ষাটোর্ধ্ব অভিনেত্রীর পুত্র অয়ন লাল এসেছিলেন সলমন খানের অনুষ্ঠানে। তিনি এসে মায়ের জীবনসংগ্রামের কথা শোনান। তা শুনে আর নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি ভাইজান। চোখে জল এসে যায় তাঁর।
কুনিকাকে ‘ব্যর্থ অভিনেত্রী’ বলে খোঁচা দিয়েছিলেন ফরহানা ভট্ট নামের এক প্রতিযোগী। সেই কাশ্মীরি প্রতিযোগীকে এই দিন একহাত নেন সলমন। পাশাপাশি অয়নকে বলেন, সরাসরি ফরহানাকে জবাব দিতে। এই দিন প্রথমে মা অর্থাৎ কুনিকার উদ্দেশে অয়ন বলেন, “পুরো ভারত তোমাকে দেখছে, মা। খুব ভাল লাগছে। আমরা গোটা পরিবার তোমাকে দেখছি। তোমার পুত্র হয়ে আমি খুব গর্বিত। একটা সময়ে তুমি নিজের বাবার জন্য বেঁচেছ। তার পর স্বামী ও পুত্রদের জন্য। এ বার তোমার নিজের বাঁচার পালা। তোমার বয়স ৬২! আমার জন্য তোমাকে শক্তিশালী থাকতেই হবে, মা।”
এর পরেই অয়ন তাঁর মায়ের জীবনযুদ্ধের কথা জানান। তিনি বলেন, “একটা ছোট মেয়ে (কুনিকা) স্বপ্ন দেখেছিল— তাঁর একটা সংসার হবে, বাচ্চা হবে আর সংসারে সুখ থাকবে। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের থেকে তিনি সুখ পাননি। তাই ১৭ বছর বয়সেই নিজের পছন্দের পুরুষকে বিয়ে করেন।”
কিন্তু কুনিকার সেই বিয়ে একটা সময়ে পরে ভেঙে যায়। শুরু হয় সন্তানের হেফাজত নিয়ে স্বামীর সঙ্গে লড়াই। সেই সন্তানকে অপহরণ পর্যন্ত করা হয়েছিল। সেই নিয়ে দীর্ঘ দিন আইনি লড়াইয়ে শামিল হতে হয়েছে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে। ১২ বছর বয়সে সেই সন্তানকে খুঁজে পেয়েছিলেন। তার পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন কুনিকা। তার পরে জন্ম হয় অয়নের।
অয়ন জানান, শুধুমাত্র রোজগার করার জন্য অভিনয়ের পথ বেছে নিয়েছিলেন কুনিকা। জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন এবং খাওয়াদাওয়াও ঠিক করে করতে পারেননি। তাই ‘বিগ বস্’-এর ঘরে এসে খাওয়াদাওয়া নিয়ে সতর্ক থাকেন তিনি। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর এই জীবনসংগ্রামের কাহিনি শুনেই আর থেমে থাকতে পারেননি সলমন। কেঁদে ফেলেন তিনিও।