বিনোদন ডেস্ক : সহসরলভাবে কথা বলতেন রিপন ভিডিও। ছিলেন গ্রামের একজন কাঠমিস্ত্রি। সেখান থেকেই মাঝেমধ্যে ভিডিও করতেন, ভিডিওতে ছড়া বলতেন। কিন্তু সেসব করে তো আয় ছিল না।
তাই একটা চাকরি খুঁজছিলেন। ঢাকার কয়েকজন ব্যক্তি তাকে একটি চাকরি দেন। তবে রিপন মিয়া পিয়নের ওই চাকরিটি বেশিদিন করতে পারেননি। ফিরে যান গ্রামে।
এর অনেকদিন পর, রিপন মিয়া নতুন করে আলোচনায় আসেন রান্নার ভিডিও করে। ঝকঝকে ভিডিও, কোয়ালিটি বেশ ভালো। তবে রিপন কেন রান্না করছেন সেটা মূখ্য না হয়ে তিনি কী কী রান্না করছেন সেটা দেখার আগ্রহ মানুষের মধ্যে জন্মায়। সেই রান্নার ভিডিওর দর্শক তৈরি হলে রিপন মিয়া এবার কক্সবাজার যান, এই ভিডিও ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়।
এরপর রিপনের ভিডিও মানুষ ব্যাপকভাবেই দেখতে শুরু করে। পরবর্তীতে নেপাল কিংবা অন্যান্য সকল ভিডিও মানুষজন বেশ আগ্রহ নিয়েই দেখে।
রিপন মিয়া বছরের শুরুতে একটি গণমাধ্যমে বলেন, এক মিডিয়া ম্যানেজারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় এবং সেই মিডিয়া ম্যানেজারের তত্ত্বাবধানেই রিপন কাজ করে।
ওই গণমাধ্যমে বলেন, দুজন মিলে এখন পঞ্চাশ-পঞ্চাশ ভাগে লাভ ভাগাভাগি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো পরিচালনা করছেন।
নাম প্রকাশ করতে না চাওয়া ওই ম্যানেজার গণমাধ্যমকে বলেন, রিপন ভাই খুবই সহজ সরল মানুষ।
মানুষ তার কাছে এসেছিল, কথা বলেছিল, আর কোনোভাবে তার পেজগুলো হ্যাক করে ফেলেছিল, যেগুলোতে ছিল মিলিয়নেরও বেশি অনুসারী।
তবে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রাহিদ রনি বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি কদিন আগে নেত্রকোনায় গিয়েছিলেন রিপনের সাক্ষাৎকার নিতে। রাহিদ রনি দাবি করেন রিপনকে দেওয়া হয় মোট আয়ের ১০ পার্সেন্ট। যেটা রিপনের জন্য অনেক।
রাহিদ রনি আরো বলেন, স্পন্সর ও কন্টেন্ট থেকে রিপনকে কেন্দ্র করে প্রতি মাসে আয় হয় গড়ে ৩ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি রিপনকে নিয়ন্ত্রণ করেন সজিব নামের একজন। যিনি ম্যানেজার পরিচয়ে রয়েছেন। তিনি কাউকে রিপনের সঙ্গে কথা বলতে দেন না।
রাহিদ রনির দাবি প্রসঙ্গে কথা বলতে ম্যানেজার সজিবকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।