বিনোদন ডেস্ক: দীর্ঘ অসুস্থতার পর সোমবার (২০ অক্টোবর) ৮৪ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা গোবর্ধন আসরানি। সান্তাক্রুজ শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
আসরনির দীর্ঘদিনের ব্যবস্থাপক বাবু ভাই থিবা সংবাদমাধ্যম এএনআইকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসরনি আজ বিকেল ৩টার দিকে অরোগ্য নিধি হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি স্ত্রী, বোন ও এক ভাতিজাকে রেখে গেছেন।
তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে মুম্বাইয়ের সান্তাক্রুজ শ্মশানে। বলিউডের সহকর্মী ও অসংখ্য ভক্ত সামাজিকমাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন এই কিংবদন্তিকে।
এদিকে আলোচনায় এসেছে অভিনেতার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগের একটি পোস্ট। জীবনের শেষ দিনেও ভক্তদের মুখে হাসি ফোটাতে ভুলেননি আসরনি। মৃত্যুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি দীপাবলি শুভেচ্ছা পোস্ট করেন। দুপুর ২টার দিকে পোস্টটি করার পর বিকেল ৩টার সময় তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ পায়। আনন্দের সেই শুভেচ্ছাবার্তাই হয়ে রইল তার জীবনের শেষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্ট।
পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে আসরানি অভিনয় করেছেন তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে। নিখুঁত সংলাপ উচ্চারণ, মুখভঙ্গি ও অদ্ভুত কৌতুকরসের জন্য দর্শকপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
তার অভিনীত ‘মেরে আপনে’, ‘কোশিশ’, ‘বাবার্চি’, ‘পরিচয়’, ‘অভিমান’, ‘ছোটিসি বাত’, ‘রাফু চক্কর’সহ প্রতিটি ছবিতেই দর্শকদের হাসির খোরাক জুগিয়েছেন।
তবে ১৯৭৫ সালে নির্মাতা রমেশ সিপ্পির কালজয়ী ছবি ‘শোলে’-তে কারাগারের জেলারের চরিত্রে তার অভিনয় ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। সেই সংলাপ ও ভঙ্গি আজও জনপ্রিয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে।
শুধু অভিনয় নয়, আসরনি ছিলেন সফল পরিচালক ও চিত্রনাট্যকারও। ১৯৭৭ সালে তিনি ‘চলা মুরারী হিরো বননে’ সিনেমাটি লিখে, পরিচালনা ও অভিনয় করেন। পরে তিনি ‘সালাম মেমসাব’ পরিচালনা করেন এবং গুজরাটি চলচ্চিত্রেও সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।