মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৬, ০৯:১৬:৫৬

পর্দা করে রাস্তায় বাহির হওয়া নারীদের নিয়ে যে কথা বললেন আলােচিত সেই হ্যাপী

পর্দা করে রাস্তায় বাহির হওয়া নারীদের নিয়ে যে কথা বললেন আলােচিত সেই হ্যাপী

বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করার মধ্য দিয়ে আলোচনায় উঠে আসেন মডেল ও অভিনেত্রী নাজনিন আক্তার হ্যাপী। এই মামলাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সর্বাধিক আলোচিত মডেলে রূপান্তরিত হয়েছিলেন তিনি। মামলা দায়েরের দিন থেকে দীর্ঘ ৬মাস পর্যন্ত এ নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়। যার ফলে হ্যাপী রাতারাতি চলে আসেন লাইম লাইটে। এসব ঘটনায় ফেসবুকে একের পর এক স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি আলোচনা ও সমালোচনার জায়গাটি উন্মুক্ত রাখেন। যার ফলে তাকেসহ রুবেলকে নিয়ে চলে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা।

এর ধারাবাহিকতায় প্রতিদিনিই তিনি ছিলেন কোন না কোন সংবাদ শিরোনামে। তবে এসব আলোচনা ও সমালোচনা ছাপিয়ে মাস দুয়েক হলো নিজেকে পুরোপুরি বদলে নিয়েছেন হ্যাপী। চলচ্চিত্র কিংবা মিডিয়ায় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। নিজের এ সিদ্ধান্তে পুরোপুরি অটল তিনি। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ছবি পর্যন্ত পোস্ট করছেন না। ফেসবুকের প্রোফাইল ও কাভারে পবিত্র কোরআন শরিফের ছবি দিয়ে রেখেছেন। এমনকি ধর্মীয় দৃষ্টিতে সেলফি দেয়া কতটুকু গোনাহর কাজ সে বিষয়েও স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পাশাপাশি নিয়মিত ইসলামিক স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। সেই মতে ১৮ এপ্রিল সোমবার তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। হ্যাপীর সেই স্ট্যাটসটি এমটিনিউজের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধার হলো।

'বাইরে তো যাওয়া হয়না বললেই চলে।কোথাও যাওয়া বলতে প্রতি বুধবার তালিমে যাওয়া।

তালিম ছাড়া বিশেষ কোনো প্রয়োজনে যদি বের হই তাও হিসাব করলে মাসের মধ্যে একবার,আবার কোন মাসে একেবারেই না।

এই চলাফেরার মধ্যেই বাইরে যখন দেখি কোনো হাতমোজা,পা-মোজাসহ পূর্ণ পর্দা করা কোনো বোন,তখন যে কতটা আনন্দিত হই তা কেবল আমার আল্লাহ জানেন। আলহামদুলিল্লাহ!

যতদূর চোখ যায় দেখতে ইচ্ছা করে।আরও শীতলতার বিষয় হল সেই বোনেরা আমার দিকেও তাকিয়ে থাকে(হয়তো একই রকম লেবাস দেখে)।

তখন মনে হয় ছুটে গিয়ে মোসাফা করি,এটাও মনে হয় যে আমি তাদের যা খুশি তাই বলতে পারি কারণ তারা আমার বোন,আপন বোন।

আর আমাদের এলাকার তালিমে যারা যায় তারা সবাই পর্দা করেন। একজনকেও পাওয়া যাবেনা যে পরিপূর্ণ পর্দা করে না! আলহামদুলিল্লাহ!

যেসব বোনেরা পরিপূর্ণ পর্দা করার জন্য মানুষের কাছে হাসি-ঠাট্টার পাত্রী হয়,সমাজের কাছে আনস্মার্ট/ক্ষ্যাত/জঙ্গী হয়,পরিবারের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারায়,অসহ্য গরমেও পর্দা করতে সামান্যতমও বিরক্ত লাগে না,অসংখ্য প্রতিকূলতার মধ্যেও এক আল্লাহর খুশির জন্য পর্দা করে এবং সেই পর্দা করে অদ্ভুত এক শান্তি অনুভব করে,তাদেরকে আমার আল্লাহ জান্নাতূল ফেরদৌস দান করবেন ইশাআল্লাহ।'
১৯ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে