বিশ্বের বৃহৎ ‘রানীকোটের দুর্গ’
এক্সক্লসিভ ডেস্ক : এক সময়ের সেই ঢাল তলোয়ারের দিন এখন আর নেই। বলা ভালো, এখন আর আগের মত এক পক্ষ আরেক পক্ষের দুর্গে দখলে সেই মহড়া দেয়না। তাহলে এখন কি হয়? সেই জায়গায় এখন এক রাষ্ট্র আরেক রাষ্ট্রের বাজার দখল করে নেয়। কিন্তু পৃথিবীতে আজও অনেক দুর্গ আছে, যেগুলো সেই যুগের সাক্ষি হয়ে আসে আমাদের কাছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দুর্গভিত্তিক যে সভ্যতা গড়ে উঠেছিল তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্গটি অবস্থিত বর্তমান পকিস্তানে। পকিস্তানের এই দুর্গটি বর্হিবিশ্বের কাছে ‘রানীকোটের দুর্গ’ নামে পরিচিত হলেও স্থানীয়দের কাছে দুর্গটি পরিচিত ‘সিন্ধের দেয়াল’ নামে।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো এই দুর্গটি কে বানিয়েছিল এবং ঠিক কোন সময়ে বানানো হয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি। আর দুর্গটি এমন এক জায়গায় অবস্থিত, এটা যে যুদ্ধের কাজে ব্যবহৃত হতো তাও বলা যাচ্ছে না। কারণ মূল ভূখন্ডের ঠিক মাঝখানে দুর্গটি অবস্থিত হওয়ায় চর্তুদিক থেকে আক্রমনের শিকার হওয়ার কথা স্বাভাবিক ভাবেই। পৃথিবীর অন্য সব দুর্গগুলো প্রকৃতির ঢালকে আশ্রয় করে নির্মিত হয়েছে, যাতে শত্রুপক্ষকে এক পাশ থেকে প্রতিরোধ করা যায়। দুর্গটি প্রায় ২৬ কিলোমিটার এলাকা জুরে অবস্থিত।
পাকিস্তানের করাচির মূল সড়ক ধরে এগুলো থাকলেই দেখতে পাওয়া যাবে দুর্গটিকে। দুর্গের আমলে নির্মিত রাস্তাটি এখনও বেশ ভালো আছে, যা স্থাপত্যবিদদের কাছে আজও বিস্ময়। দুর্গটির পূর্বদিক দিয়ে ঢুকতে গেলে ‘সান গেট’ নামে পরিচিত গেট দিয়ে ঢুকতে হয়। এছাড়াও অনেক দুঃসাহসিক অভিযাত্রী থাকেন যারা সোজা পথে না গিয়ে বিপদসঙ্কুল পথে অভিযান করতে পছন্দ করেন। তারা চাইলে দুর্গের বিশাল দেয়াল বেয়েও উঠতে পারেন। পুরো দুর্গটির ভেতরে বেশ কয়েকটি ছোটো দুর্গ আছে। এদের মধ্যে ‘মেরি’ ও ‘শেরগড়’ অন্যতম।
মূল সড়ক ধরে এগুতে থাকলে দুর্গের কাছাকাছি দেখতে পাওয়া যাবে বিশালকার কামান। মনে হতে পারে একটু পরেই কামান দেগে উড়িয়ে দেয়া হবে শত্রু শিবির। প্রায় চার কিলোমিটার যাওয়ার পর ‘পরীদের পুকুর’ নামের একটি পুকুর দেখতে পাওয়া যাবে। এই পুকুরটিতে কেন্দ্র করে অনেক মিথ চালু আছে পাকিস্তানে। প্রতিবছর অনেক পর্যটক শুধুমাত্র এই পুকুরটিকে দেখতেই পাকিস্তানে আসে।
২৩ সেপ্টেম্বর /এমটিনিউজ২৪/আল-আমিন/এএস