বিনোদন ডেস্ক : ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে হারিয়ে যাওয়া একটি শিশুকে বাংলাদেশে পাওয়া যাওয়ার পর তাকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা বরগুনায় স্থানীয় এক ব্যক্তি শিশুটিকে আদালতে নেয়ার পর নিজে দিল্লিতে গিয়ে তার মাকেও খুঁজে বের করেছেন।
শিশুটির মা তার সন্তান হারানোর ঘটনায় বাংলাদেশি একজন নারীকেই অভিযুক্ত করেছেন। তবে বাংলাদেশি ওই নারীর বোন বলছেন, শিশুটি তার বোনের সাবেক স্বামীর আগের স্ত্রীর সন্তান।
ভারতীয় হাইকমিশনের সহায়তায় দ্রুতই শিশুটিকে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে বলে বলছে একটি মানবাধিকার সংস্থা।
আনুমানিক ১০ বছর বয়সী সনু এখন যশোরের একটি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে। প্রায় পাঁচ বছর পর তার সাথে এখন নিয়মিত কথা হচ্ছে দিল্লিতে থাকা তার মায়ের সাথে।
সনু জানায়, পাঁচ বছর আগে এক মহিলা তাকে নিয়ে আসে বাংলাদেশে। মা বলেছেন জামিন করে আমাকে নিয়ে যাবেন।
কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, বরগুনার আদালতের নির্দেশ মতো গত ২২ ডিসেম্বর সনুকে কেন্দ্রটিতে আনা হয়েছে।
তিনি জানান, এখন তাকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারাও এসেছেন। একটা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
কিন্তু শিশুটি বাংলাদেশে এসেছিল কি করে এমন প্রশ্নের জবাবে মানবাধিকার সংস্থা যশোর রাইটসের কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, স্থানীয় অধিবাসী জামাল ইবনে মুসাই শিশুটিকে স্থানীয় আদালতে নিয়েছেন এবং পরে দিল্লিতে গিয়ে শিশুর মাকেও খুঁজে বের করেছেন।
আর শিশুর মা মাধুরী দিল্লি থেকে বলেন, তার সন্তানের হারানোর ঘটনায় রহিমা নামে বাংলাদেশি এক নারীই দায়ী বলে মনে করছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশি নারী হাসি বেগম ও তার বোন রহিমা বেগমের নাম উল্লেখ করেন।
এদিকে যে জামাল ইবনে মুসা শিশু সনুকে আদালতে নিয়েছেন তার ছেলে ফেরদৌস হোসেন জানান, নানাভাবে অত্যাচারিত হয়ে শিশুটি বাড়ি থেকে পালানোর পর তাকে উদ্ধার করে আদালতে নিয়েছেন তার বাবা।
যিনি দিল্লিতে গিয়ে সনুর মাকেও খুঁজে বের করেছেন বলে জানান তিনি।
ফেরদৌস হোসেনের অভিযোগ, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের এখন নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
তবে রহিমার বোন হাসি বেগম বলছেন, সনু দিল্লিতে থাকা তার বোন রহিমা বেগমের সাবেক স্বামীর আগের স্ত্রীর সন্তান। লালন পালনের সুবিধার্থে রহিমা শিশুটিকে তার কাছে দিয়েছেন।
তার অভিযোগ শিশুটিকে পাচার করে আনা হয়েছে এমন প্রচারণার জন্য জামাল ইবনে মুসাই দায়ী।
ওদিকে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলছেন, সনুকে যে পরিবার বাংলাদেশে এনেছে তাদের সাথে স্থানীয় কিছু ব্যক্তির বিরোধের জের ধরে বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সূত্র : বিবিসি
২৭ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম